চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিখোঁজের তিন দিন এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়ন এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
নিহত নয়ন কুমার নাথ (২৯) ওই ইউনিয়নের মুরাদপুর গ্রামের বাবুল চন্দ্র নাথের ছেলে।
নিহতের মা মীরা রানী দেবী ও তার বাবা বাবুল চন্দ্র নাথ জানান, নয়ন সীতাকুণ্ড বাজারের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করত।কতিপয় ব্যক্তির সঙ্গে লেনদেনে জড়িয়ে যায় সে। গত মঙ্গলবার পাওনাদারদের মধ্যে কেউ একজন তাকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেয়।পরে নয়ন তার মায়ের কাছে এসে জানায়, টাকা দিতে না পারলে তাকে মেরে ফেলবে। তাই মায়ের গয়নাগুলো দিলে সে তাদেরকে দিয়ে আবার কিছুদিন পর ছাড়িয়ে আনবে।নয়নকে তিন ভরি স্বর্ণালংকার হাতে তুলে দেন তার মা।এর পর থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। নয়নকে খুঁজে না পেয়ে মা মীরা রানী মঙ্গলবার সীতাকুণ্ড থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।পরে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে বাড়ির কাছের একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় নয়নের রক্তাক্ত ও অর্ধ পঁচা লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী।
নয়নের বাবা বলেন, ছেলেকে কেউ মেরে রক্তাক্ত করে গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মেয়ে বিবাহিত। অপর এক ছেলে গত ৮ বছর আগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়।
নয়নের এক প্রতিবেশি স্বপন নাথ বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে লাশ পাওয়া যায়। কিন্তু লাশ পঁচে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে গেছে।এ থেকেই বোঝা যায় তাকে আগেই হত্যা করা হয়েছিল। আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিতে লাশ বাড়ির কাছে এনে ঝুঁলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মরদেহে প্রচুর রক্ত ছিল। আত্নহত্যা করলে কখনোই এরকম রক্তাক্ত জখম হওয়ার কথা নয়।’
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘কেউ খুন করলে লাশ বাড়ির কাছে এনে ঝুলিয়ে রাখলো কেন? তবে আমরা লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছি। রিপোর্ট পেলে এটি হত্যা না আত্নহত্যা তা জানা যাবে।’