/ ‘ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্ন আওয়ামী লীগ’: অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

‘ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্ন আওয়ামী লীগ’: অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান

গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদে খুলনায় জামায়াতের বিক্ষোভ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকেলে খুলনা নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা মহানগর শাখা। সমাবেশে দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা মহানগর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেছেন, “গোপালগঞ্জ আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদের শেষ চিহ্ন। গর্তে লুকিয়ে থাকা তাদের দোসররা যে হামলা চালিয়েছে তা নিকৃষ্ট, ন্যাক্কারজনক এবং গণতন্ত্রবিরোধী।”


তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখনো নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়নি, কারণ আওয়ামী লীগ এবং তাদের ছাত্র সংগঠনের মতো নিষিদ্ধ চক্রগুলো গণতন্ত্রকে জিম্মি করে রেখেছে।” তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির আওতায় না আনা হয়, তবে জামায়াতে ইসলামী জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান এবং পরিচালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। এতে আরও বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাস্টার শফিকুল আলম, মহানগরী নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, জেলা আমীর অধ্যক্ষ কবিরুল ইসলাম, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান, ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন প্রমুখ।


বক্তারা বলেন, গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচি ছিল পূর্বঘোষিত এবং প্রশাসনের অনুমতি নিয়েই আয়োজিত। তারা অভিযোগ করেন, প্রশাসনের নীরব ভূমিকা এবং পৃষ্ঠপোষকতায় ছাত্রলীগ এ হামলা চালিয়েছে। বক্তারা দাবি করেন, “এই হামলা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ।”

অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আরও বলেন, “গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে হলে এখনই ফ্যাসিবাদের শিকড় উপড়ে ফেলতে হবে। গোপালগঞ্জ রক্তাক্ত হওয়ার পেছনে সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা সুস্পষ্ট। তারা সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার না করে বরং রক্ষা করছে, আর সেজন্যই হামলাকারীরা এ ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারছে।”


সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে রয়্যাল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে শত শত নেতা-কর্মী অংশ নেন এবং হামলাকারীদের শাস্তি ও অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান।