/ কুয়েটের অচলাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকদের স্মারকলিপি ইউজিসিতে

কুয়েটের অচলাবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকদের স্মারকলিপি ইউজিসিতে

টানা পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চরম উদ্বেগে পড়েছেন তাদের অভিভাবকরা। এই অচলাবস্থা নিরসনে এবং দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরাম, ঢাকা।


বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইউজিসি ভবনের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে গিয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন ফোরামের প্রতিনিধিরা। প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন বিকাশ কুমার শীল, মোঃ আনোয়ার হোসেন, হাসান জুলকারলীন, মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ বাহার উদ্দিন।

স্মারকলিপিতে অভিভাবকরা উল্লেখ করেন, দেশের অন্যতম স্বনামধন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় কুয়েট পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে কার্যত অচল। এর ফলে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।


তারা বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর জীবন থেকে ৬ মাস নষ্ট হওয়া মানে সে ৬ মাস আগেই চাকরি পাওয়ার সুযোগ হারাচ্ছে। এর মানে পারিবারিক এবং মানসিক চাপ, হতাশা ও দুশ্চিন্তা আরও বাড়ছে।”
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়, “এইচএসসি পাশ করে নানা প্রতিযোগিতা পেরিয়ে সন্তানরা কুয়েটের মতো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়েছে। অথচ দীর্ঘ সময় ধরে চলমান অচলাবস্থা তাদের ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করে তুলছে।”

২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থানের সময় কুয়েটসহ দেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ছিল। এর কিছুদিন পর, চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারির অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঘটনার জেরে কুয়েটের একাডেমিকসহ সব প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়, যা এখনো চালু হয়নি।
অভিভাবকদের দাবি, এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে, গবেষণা ও প্রকৌশল শিক্ষার মান পড়ে যাচ্ছে এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

কুয়েট গার্ডিয়ান ফোরামের পক্ষ থেকে ইউজিসি চেয়ারম্যানকে জানানো হয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনের এই মূল্যবান সময় নষ্ট না করে বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত খুলে দেওয়া হোক। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে হস্তক্ষেপ চায় তারা।
এক অভিভাবক বলেন, “করোনার সময় আমরা ঘরে বসে সন্তানদের পড়াশোনার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম, এখন আবার একই অবস্থা। সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখনই কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া দরকার।”