/ মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে: খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা

মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য জামায়াতকে ক্ষমা চাইতে হবে: খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল আলম মনা

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিতর্কিত ভূমিকার জন্য জামায়াতে ইসলামীকে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি বলেন, “জামায়াত একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি। শুধু তাই নয়, আল বদর ও আল শামস বাহিনী গঠন করে দেশের মানুষকে হত্যা করেছিল। তাই জামায়াত কী বললো বা না বললো—এটা বিএনপির কাছে বিবেচ্য নয়। বিএনপির কাছে এখন বিবেচ্য বিষয় হলো দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা।”

শনিবার (২৬ জুলাই) বিকালে দৌলতপুর থানার অন্তর্গত ৪ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শফিকুল আলম মনা আরও বলেন, “স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নানা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। আগামী দিনে তাদেরকে রাজনৈতিকভাবে রাজপথেই দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপি জনগণের দল, জনগণকে সঙ্গে নিয়েই এসব ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের জবাব দিতে প্রস্তুত রয়েছে।”

তিনি অভিযোগ করে বলেন, নির্বাচনের সময় যত দেরি হবে, ততই অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করবে ষড়যন্ত্রকারীরা। “দেশে গত কিছুদিন ধরে যেসব ঘটনা ঘটছে, মানুষ মনে করে এগুলো পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে। দুর্ঘটনা এ দেশে অনেক হয়েছে—গার্মেন্টসে মানুষ পুড়ে মারা গেছে, বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। কিন্তু সচিবালয়ে আক্রমণ বা পতিত শক্তির উস্কানিমূলক স্লোগান আমরা আগে দেখিনি। এতে বোঝা যায়, কারা এসব ঘটনার নেপথ্যে আছে,” বলেন তিনি।

খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি বলেন, বিএনপি অতীতে সরকারে থেকেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করেছে। “আজকে দেশে যে অর্থনৈতিক অবকাঠামো দাঁড়িয়ে আছে, তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন। পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়া সেটাকে এগিয়ে নিয়েছেন। সমীক্ষায় দেখা গেছে, বেগম জিয়ার আমলেই দেশে সর্বাধিক শিল্পায়ন হয়েছিল।”


তিনি আরও বলেন, বিএনপির একমাত্র লক্ষ্য জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা। “মানুষ যাকে পছন্দ করবে, তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে নিজেদের পছন্দের সরকার প্রতিষ্ঠা করবে—এটাই বিএনপির চাওয়া,” বলেন শফিকুল আলম মনা।

সভায় সভাপতিত্ব করেন লিয়াকত হোসেন লাভলু। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুরশিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন ও মতলুবুর রহমান মিতুল। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মো. আরমান শেখ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন রুবায়েত হোসেন বাবু, মো. শফিক আনাম, কামরুল ইসলাম বাচ্চু, জামাল উদ্দিন বাবলু, আমিন শাহ, মুক্তার হোসেন, মনসুর রহমান, মোল্যা হোসেন, মিজানুর রহমান মিজান, শেখ আহাদুজ্জামান, এনায়েত হোসেন, ফিরোজা বেগম, নাসরিন মিজা, সাকিব ফরাজি, মামুনসহ স্থানীয় বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।