খাগড়াছড়ির পার্বত্য অঞ্চলে আবারো সশস্ত্র গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। জেলার পানছড়ি উপজেলার দুর্গম লোগাং এলাকায় রবিবার দুপুর থেকে বিবদমান দুটি পক্ষের মধ্যে থেমে থেমে ব্যাপক গুলিবিনিময় হয়।
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রসীত খীসাপন্থী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং সন্তু লারমাপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয়রা ধারণা করছেন। তবে এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, রবিবার দুপুর থেকে উপজেলার সীমান্তবর্তী লোগাং ইউনিয়নের করল্যাছড়ি, বাবুপাড়া ও তারাবন গির্জা এলাকায় থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা যায়। এতে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রসীত খীসাপন্থী ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং সন্তু লারমাপন্থী পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলে স্থানীয়রা ধারণা করেছেন।
পানছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, গোলাগুলির খবর শুনেছি।তবে কাদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়েছে এবং এতে কেউ হতাহত হয়েছে কি না, তা এখনো নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।
এদিকে, ইউপিডিএফ-এর জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা এ ঘটনায় তাদের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ইউপিডিএফ-এর সঙ্গে কারো কোনো গোলাগুলি বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তবে এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)-এর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাতে দীঘিনালার দুর্গম নারাইছড়ি এলাকায় ইউপিডিএফ-জেএসএসের মধ্যে গোলাগুলির খবর পাওয়া যায়। এতে চারজন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়। তবে বিষয়টি কোনো পক্ষই নিশ্চিত করেনি।