নিজস্ব সংবাদদাতা, চিতলমারী (বাগেরহাট): চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারের নিউ মন্ডল জুয়েলার্সের সিন্ধুক কেটে চুরিকৃত প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালঙ্কার পুলিশ উদ্ধার করেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃত এমাদুল খাঁনের (৪০) স্বীকারোক্তি মোতাবেক তাঁর বাড়ি থেকে এ স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণালঙ্কারের মুল্য প্রায় অর্ধকোটি টাকা।
পুলিশ এ সময় এমাদুল খাঁনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ঘটনার সাথে জড়িত অপর স্বর্ণ ব্যবসায়ী সজল বসু (৪২) ও লোহা ব্যবসায়ী শুভ্র বসু (২৪) কে আটক ও সিন্ধুক কাটার কাজে ব্যবহৃত গ্রান্ডার মেশিন উদ্ধার করেছে।
মুলহোতা এমাদুল খাঁন চিতলমারী বাজারের খাজনা আদায়কারী (ইজারাদার) ও আড়–য়ার্বনী গ্রামের মৃত মঞ্জুর খানের ছেলে। সজল বসু গরীবপুর গ্রামের সন্তোষ কুমার বসুর ছেলে ও শুভ্র বসু শিবপুর গ্রামের সূর্য কান্ত বসুর ছেলে। দীর্ঘ দিনের এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য এমাদুল খাঁন চিতলমারী বাজারের সকল সিসি ক্যামেরা নষ্ট করেন। শুক্রবার দুপুর ২টায় চিতলমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম শাহাদাৎ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি জানান, গত ৪ আগষ্ট রাতে চিতলমারী সদর বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী তাপস মন্ডলের নিউ মন্ডল জুয়েলার্সের সিন্দুক কেটে চোরেরা প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। এ ঘটনায় তাপস মন্ডল ৮ আগষ্ট অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার ৪ঘন্টার মধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাপসের প্রতিবেশী চা দোকানদার ও চিতলমারী বাজারের ইজারাদার এমাদুল খানকে গ্রেপ্তার করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তার বাড়ীর আলমারীর ড্রয়ারে রাখা চুরিকৃত ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত ৩ জনকে মামলার তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।
চিতলমারী বাজার ব্যবসায়ী ব্যবস্থাপনা কমিটির আহবায়ক মোঃ সোয়েব হোসেন গাজী ও সদস্য সচিব মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘চোর ও চুরির মালামাল দ্রæত উদ্ধার করার জন্য থানা অফিসার ইনচার্জকে ধন্যবাদ জানাই।