রাসেল আহমেদ, তেরখাদা (খুলনা): তেরখাদায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে দীর্ঘদিন ধরে জনবল সংকটের কারণে সেবা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, ভূমি, পরিবার পরিকল্পনা, মহিলা বিষয়ক, প্রকৌশলসহ সেবামূলক অফিসগুলোতে গুরুত্বপূর্ণ ১২৫ টি গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় সরকারি কার্যক্রম যেন স্থবির হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স ও ল্যাব টেকনিশিয়ানসহ ৭৩টি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। অল্পসংখ্যক কর্মী দিয়ে প্রতিদিন বিপুল রোগীর চাপ সামলানো সম্ভব হচ্ছেছ না। ফলে রুগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা না পেয়ে হাসপাতাল থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হ”েছন।
ভূমি অফিসে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছাড়া অন্য কোনো স্থায়ী কর্মকর্তা নেই। কানুনগো, চেইনম্যান ও ইউনিয়ন ভূমি সহকারীসহ ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ পদ খালি থাকায় জমিজমা সংক্রান্ত সেবা প্রাপ্তিতে সাধারণ মানুষ দিন দিন হতাশার মুখে পড়ছেন।
পরিবার পরিকল্পনা দপ্তরের ২৮টি পদ শূন্য থাকায় কার্যক্রম প্রায় বন্ধ। মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর পুরোপুরি একজন কর্মকর্তার উপর নির্ভরশীল হওয়ায় নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড অচলহয়ে পড়েছে ।
শিক্ষা বিভাগেও জনবল সংকটের ছাপ স্পষ্ট। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার পদ দীর্ঘদিন খালি থাকায় স্কুল তদারকি ও প্রশাসনিক কার্যক্রমে গতি আসছে না
জনস্বাস্থ প্রকৌশল, খাদ্য, যুব উন্নয়ন, কৃষি ও মৎস্য দপ্তরেও সহকারী প্রকৌশলী, কৃষি কর্মকর্তা, মৎস্য কর্মকর্তা সহ বহু পদ ফাঁকা থাকায় উন্নয়ন প্রকল্পগুলো থমকে যা”েছ। কৃষক ও মৎস্যজীবীরা প্রয়োজনীয় কারিগরি সহায়তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যার প্রভাব সরাসরি উৎপাদনে পড়ছে।
হিসাব রক্ষণ অফিসে কর্মকর্তা সপ্তাহে মাত্র দুই দিন অফিস করেন। অডিটরসহ আরও দুটি পদ শূন্য থাকায় আর্থিক লেনদেন ও হিসাব সংক্রান্ত কাজও বিলম্বিত হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা বলেন, জনবল সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে এবং দ্রুত পদে নিয়োগ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তবে দ্রুতপদ পূরণ না হলে সরকারি সেবা দুর্ভোগ আরও বৃদ্ধি পাবে।
স্থানীয়রা বলছেন, জনবল সংকট দ্রুত মেটাতে না পারলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সরকারি সেবার প্রতি আ¯’া কমে যাবে এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হবে। তাই দ্রুত পদ শূন্য পূরণ করে সেবা কার্যক্রম সচল করতে হবে।