বাংলাদেশে চলতি আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধের মধ্যে বড় ধরনের বন্যা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডি থেকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই সতর্কবার্তা জানান।
গবেষকের ভাষ্যমতে, ২০২০ সালের পর থেকে বাংলাদেশে বর্ষাকালের স্বাভাবিক ও বৃহৎ আকারের কোনো দেশব্যাপী বন্যা হয়নি। ২০২২ সালে সিলেট বিভাগে ও ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বিভাগে যে বন্যা হয়েছিল, তা পাহাড়ি ঢল বা ফ্ল্যাশ ফ্লাড ছিল; এটি বর্ষাকালের প্রকৃত বন্যা নয়।
মোস্তফা কামাল পলাশ ব্যাখ্যা করেন, বর্ষাকালের স্বাভাবিক বন্যা বলতে বোঝানো হয় ভারতের গঙ্গা নদী অববাহিকা হয়ে বাংলাদেশের পদ্মা নদীতে প্রবেশ করা পানিতে উপকূলবর্তী জেলা প্লাবিত হওয়া, পাশাপাশি তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তীরবর্তী বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানিতে ডুবে যাওয়া।
তার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালের সম্ভাব্য বন্যায় পদ্মা, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর তীরবর্তী ২০ থেকে ৩০টি জেলা প্লাবিত হতে পারে। এই বন্যা আগস্টের ১৫ তারিখের পর থেকে সেপ্টেম্বরের ১০ তারিখের মধ্যে আঘাত হানতে পারে।
পোস্টে তিনি লিখেছেন “আমি মনে-প্রাণে চাইবো আমার পূর্বাভাসটি ভুল প্রমাণিত হোক এবং বাংলাদেশের মানুষ কোনো বড় মানের বন্যার সম্মুখীন না হোক।”
তার এই সতর্কবার্তার সঙ্গে যুক্তি, তথ্য ও বিশ্লেষণ সংবলিত একটি গবেষণাধর্মী পোস্ট ‘আবহাওয়া ডট কম’ ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশে মৌসুমি বন্যা প্রায় প্রতিবছরই কোনো না কোনো মাত্রায় ঘটে। তবে পদ্মা, যমুনা, তিস্তা ও ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার সমন্বিত প্লাবনকে ‘বড় মানের বন্যা’ ধরা হয়, যা সাধারণত কয়েকটি বিভাগজুড়ে মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে এমন বন্যার ঝুঁকি ও ঘনত্ব বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে আসছেন।