গাজায় গত ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৭৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।একই সময়ে অনাহারে আরও দুজনের প্রাণ গেছে।
মঙ্গলবার নিহতদের মধ্যে ১৯ জন ত্রাণ প্রত্যাশী ছিলেন। এদিন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও কানাডা, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ ২৬টি দেশ যৌথ বিবৃতিতে গাজার ‘অকল্পনীয় মাত্রার’ দুর্ভোগের নিন্দা জানিয়ে চলমান দুর্ভিক্ষ ঠেকাতে ও পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে জরুরি পদক্ষেপের আহ্বান জানায়।
উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিংয়ের কাছে ত্রাণ প্রত্যাশীদের ওপর সাম্প্রতিক হামলার বর্ণনায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা ভয়াবহ দৃশ্য তুলে ধরেছেন।
সাইয়িদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, চারপাশে গুলির শব্দ, আমরা কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। আমাদের সামনে মানুষ মারা যাচ্ছিল, গুলি আমাদের পায়ের ফাঁক দিয়ে ছুটছিল, আমরা কিছুই করতে পারছিলাম না।তিনি বলেন, আমরা এখানে এসেছিলাম কিছু খাবার পেতে, কিন্তু কষ্ট করে বেঁচে ফিরেছি। আমরা ক্লান্ত, এখন এক টুকরো রুটি পেতে প্রাণ দিতে হয়।
মোহাম্মদ আবু নাহল নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, গুলির বৃষ্টির মধ্যে আমি পেটের উপর শুয়ে হামাগুড়ি দিয়েছি। হতাহতরা চারপাশে পড়ে ছিল। আমরা তাদের টেনে সরাচ্ছিলাম। আমি শুধু আমার সন্তানদের জন্য খাবার আনতে এসেছিলাম। আমার কাছে খাবার বা পানি থাকলে আমি আসতাম না। আমি কী করব? চুরি নাকি লুট?” তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি যুদ্ধ বন্ধ ও দুর্ভোগের অবসান ঘটানোর আহ্বান জানান।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৬১ হাজার ৫৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৮৮ জন।