খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) প্রশাসক মো. ফিরোজ সরকার বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা আমাদের অবস্থান থেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। জনবল সংকট কাটিয়ে উঠতে পারলে সিটি কর্পোরেশনের কাজে আরও গতি আসবে এবং নাগরিকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
বুধবার (২০) সকালে নগর ভবনের জিআইজেড মিলনায়তনে পরিবেশ-প্রতিবেশ সুরক্ষায় ময়ূর নদের বিদ্যমান সংকট : আদালতের আদেশ বাস্তবায়নের বর্তমান প্রেক্ষিত শীর্ষক উপকারভোগীদের মতামত প্রদান বিষয়ক সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রশাসক ফিরোজ সরকার বলেন, ময়ূর নদ রক্ষায় সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য। আপনাদের মতামত আমাদের জন্য শিক্ষণীয়। আমরা একসাথে কাজ করলে ময়ূর নদকে সুন্দর পরিবেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।
তিনি পানি উন্নয়ন বোর্ড, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ) এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরকে সঙ্গে নিয়ে ময়ূর নদ সংরক্ষণে আরেকটি সেমিনার আয়োজনের পরামর্শ দেন।
প্রশাসক বলেন, গল্লামারী সেতুর সরঞ্জাম ইতোমধ্যে দেশে এসে পৌঁছেছে। আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। তিনি আশ্বাস দেন, সেতু নির্মাণের কারণে যে নাগরিক ভোগান্তি তৈরি হয়েছে, তা শিগগিরই দূর হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তুষার কান্তি রায়। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান, নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মো. মাসুদ করিম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বেলার বিভাগীয় সমন্বয়কারী মাহফুজুর রহমান মুকুল।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কেসিসির শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক কর্মকর্তা এস.কে.এম. তাছাদুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনার সিনিয়র কেমিস্ট তানভীর হায়দার, পরিবেশ সুরক্ষা মঞ্চের সভাপতি অ্যাড. কুদরত-ই-খুদা, সাধারণ সম্পাদক সুতপা বেদজ্ঞ, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি ও নাগরিক নেতৃবৃন্দ।