মালয়েশিয়ার সেলাঙ্গর রাজ্যে পৃথক দু’টি অভিযানে ৯৪ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ভারত এবং পাকিস্তানের নাগরিক রয়েছে।মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক দাতুক জাকারিয়া শাবান জানান, সোমবার প্রথম অভিযানটি চালানো হয় সেলাঙ্গরের কাজাং এলাকার বন্দর সুঙ্গাই লং-এর একটি বিনোদন পার্কে।
সেখানে দুই সপ্তাহের অনুসন্ধানের পর দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে অভিযান চালায় ইমিগ্রেশন বিভাগ।এই অভিযানে ১২৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, যাদের মধ্যে ৫২ জন বিদেশি ও ৭১ জন স্থানীয়। সেখান থেকে ৪৬ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়।আটকদের মধ্যে রয়েছেন ৩১ জন পুরুষ, ৯ জন মিয়ানমারের নারী, ২ জন ইন্দোনেশিয়ান পুরুষ, ৩ জন বাংলাদেশি পুরুষ এবং একজন থাই নারী।সবাইকে তদন্তের জন্য বেরানং-এর মিলেনিয়াম ইমিগ্রেশন ডিটেনশন ডিপোতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান জাকারিয়া।
পরদিন মঙ্গলবার আরও একটি অভিযান চালানো হয় বালাকং-এর একটি শিল্প কারখানা এবং পুচং-এর একটি সুপারমার্কেটে। সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে শুরু হওয়া অভিযানে ৬৪ জনকে যাচাই-বাছাই করা হয় এবং ৪৮ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করা হয়।আটকদের বয়স ১৮ থেকে ৪৯ বছরের মধ্যে এবং তারা বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, ভারত ও পাকিস্তানের নাগরিক।
ইমিগ্রেশন মহাপরিচালক জানান, অনেক অবৈধ অভিবাসী পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও, কর্মকর্তারা সজাগ থেকে তাদের আটক করতে সক্ষম হয়েছেন।তিনি বলেন, “যারা বৈধ কাগজপত্র ছাড়া বিদেশি কর্মী নিয়োগ দেন, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আটকদের বিরুদ্ধে ১৯৫৯/৬৩ সালের ইমিগ্রেশন আইনের ধারা ৬(১)(গ) ও ১৫(১)(গ) এবং ১৯৬৩ সালের ইমিগ্রেশন রেগুলেশনের ৩৯(খ) ধারায় তদন্ত চলছে।
দাতুক জাকারিয়া হুঁশিয়ার করে বলেন, “অবৈধভাবে অবস্থানকারী, পাসের অপব্যবহারকারী কিংবা সময়সীমা অতিক্রমকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের সহায়তাকারী নিয়োগকর্তারাও আইনের আওতায় আসবেন।”