/ বেনাপোলে কসাই মিজান হত্যার ১৫দিনেও রহস্য উদঘাটন হয়নি

বেনাপোলে কসাই মিজান হত্যার ১৫দিনেও রহস্য উদঘাটন হয়নি

বেনাপোল প্রতিনিধিঃ যশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল পোর্ট থানার ছোট আঁচড়া গ্রামের কসাই মিজানুর রহমান হত্যার ১৫দিন পার হলেও হত্যাকান্ডে কোনো রহস্য আজও উদঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। স্থানীয়দের প্রশ্ন নিরাপত্তা বেষ্টিত একটি বাড়ির ভেতরে গভীররাতে কীভাবে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা ঘটল?

সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই-বাছাই করে দেখা যায়, ঘটনার রাতে বাইরে থেকে কেউ বাড়িতে প্রবেশ করেনি। তারপরও রাতের যেকোন সময়ে মিজানুর রহমানকে জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটি ক্যামেরার আওতার বাইরে হওয়ায় বাড়ছে অনেক জল্পনা-কল্পনা। অনেকের মনে সন্দেহ হচ্ছে হত্যার আগে মিজা কে কেন চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অজ্ঞান করা হয়েছিল।

স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, মিজানুর রহমানের বাড়িতে ওই রাতে বাইরের কারও প্রবেশের প্রমাণ মেলেনি। তারপরও তাকে খুন করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত রহস্যজনক। হত্যাকান্ড নিয়ে নানা অভিযোগ উঠলেও মিজানের স্ত্রী ফিরোজা খাতুন বলছেন, ঘটনার পেছনে আর্থিক লেনদেনের বিষয় থাকতে পারে। তিনি জানান, ঘটনার দিনই একজন ব্যক্তি এসে ৮০ হাজার টাকা দাবি করেন। পরে মিজান ওই দেনার কথা স্বীকার করে শনিবার টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেন। ফিরোজা খাতুন বলেন, আমার স্বামীকে কেন খুন করা হলো জানি না। তবে আমি এ হত্যার বিচার চাই।

মিজানের কলেজপড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা খাতুন বলেন, আমাদের সংসারে কোনো ঝামেলা ছিল না। বাবার কারও সঙ্গে শত্রæতাও ছিল না। আমরা বাবার হত্যার ন্যায়বিচার চাই। স্থানীয়ভাবে ও আলোচিত এ হত্যাকান্ডে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের দ্রæত তন্ত ও হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছেন নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাসেল মিয়া বলেন, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারণ বলা যাচ্ছে না। রিপোর্ট আসলেই তদন্ত আরও এগিয়ে নেওয়া হবে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ নিরলসভাবে কাজ করছে।