/ কুয়েটে সংঘর্ষের সাত মাস পর পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৩২ জনকে সতর্ক

কুয়েটে সংঘর্ষের সাত মাস পর পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার, ৩২ জনকে সতর্ক

স্টাফ রিপোর্টার: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার প্রায় সাত মাস পর অবশেষে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঘটনায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে। পাশাপাশি আরও ৩২ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সভায় রবিবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের হাতে চিঠি পৌঁছালে বিষয়টি জানাজানি হয়।

শাস্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে এমএসসি শিক্ষার্থী সালিম সাদমানকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়। এছাড়া লেদার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২৩ ব্যাচের ওমর বিন হোসাইন, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২১ ব্যাচের শান্ত ইসলাম, একই বিভাগের মো. হৃদয় এবং ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ২২ ব্যাচের সাফওয়ান আহমেদ ইফাজকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।

ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক বি. এম. ইকরামুল হক বলেন, “মোট পাঁচজন শিক্ষার্থী সাজাপ্রাপ্ত হয়েছে। একজনকে এক বছর এবং চারজনকে ছয় মাস বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি ৩২ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। বিভাগীয় কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।”

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে কুয়েটে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এসময় ছাত্রদল নেতাকর্মী ও বহিরাগতদের সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। ওই রাতেই হামলাকারীদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে তৎকালীন উপাচার্যসহ কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেন শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় তদন্তে নামে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. এম. এ. এ. হাশেমকে প্রধান করে গঠিত কমিটি গত ১৪ এপ্রিল প্রতিবেদন জমা দেয়।
পরবর্তীতে আন্দোলনের মুখে তৎকালীন উপাচার্যকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ টানাপোড়েনের কারণে সাড়ে পাঁচ মাস বন্ধ থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম। নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর গত ২৯ জুলাই থেকে আবার শুরু হয় শিক্ষা কার্যক্রম।