/ ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে আজও সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ

ধর্ষণের প্রতিবাদে খাগড়াছড়িতে আজও সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ

খাগড়াছড়িতে এক পাহাড়ি কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে। আজ শনিবার ভোর ৫টা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি থেকে চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি ও সাজেকগামী সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুঁড়ি ফেলে বিক্ষোভ করছেন অবরোধকারীরা।
গত মঙ্গলবার রাতে প্রাইভেট শিক্ষকের বাড়িতে পড়া শেষে ফেরার পথে ওই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেপ্তারের পর ছয় দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল-সন্ধা অবরোধ করা হয়। গতকাল শুক্রবার হয় ছাত্র জনতার সমাবেশ।

এদিকে আজ সকাল থেকে খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কের চেঙ্গী সেতু, স্বনির্ভর; খাগড়াছড়ি-পানছড়ি সড়কের পেরাছড়া, ভাইবোনছড়া এবং খাগড়াছড়ি-দীঘিনালা সড়কের বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার প্রায় সব উপজেলায় সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অবরোধকারীরা।
সকাল থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস ছেড়ে যায়নি, পর্যটকবাহী যান চলাচলও বন্ধ। তবে পৌর শহরের ভেতরে অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল চলতে দেখা গেছে। কিছু জায়গায় পুলিশ গিয়ে সড়ক থেকে পোড়া টায়ার ও গাছের গুঁড়ি সরিয়ে দেয়।
অবরোধের কারণে সাজেকগামী বহু পর্যটক আটকা পড়েছেন। রাতে ঢাকা থেকে আসা কিছু পর্যটককে দেখা গেছে শাপলা চত্বর এলাকায়। মোহাম্মদ মালেক নামে এক পর্যটক বলেন, ‘ভোরে খাগড়াছড়ি পৌঁছে অবরোধের কথা জানতে পারি। দুই সপ্তাহ আগেই সাজেকের রিসোর্ট বুকিং দিয়ে রেখেছিলাম। এখন যেতে পারছি না।’

‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র মুখপাত্র উক্যেনু মারমা বলেন, ‘আমাদের পূর্বনির্ধারিত অবরোধ শান্তিপূর্ণভাবে চলছে। সবাইকে বিশৃঙ্খলা না করে কর্মসূচি পালনের অনুরোধ জানাচ্ছি।’
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, ‘দু-একটি জায়গায় টায়ার পোড়ানো ও ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। ঢাকা থেকে রাতে ছেড়ে আসা কিছু বাস পুলিশি পাহারায় শহরে নিয়ে আসা হয়েছে।’
ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা বলেন, তার মেয়ে প্রতিদিন সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে যেত এবং রাত ৯টায় ফিরত। মঙ্গলবার সময়মতো না ফেরায় তারা শিক্ষকের বাড়িতে খোঁজ নেন। পরে স্থানীয়দের নিয়ে আশপাশে খুঁজতে শুরু করেন। রাত ১১টার দিকে একটি ফসলের খেত থেকে তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।