নেভাল এনসাইন-১০ দিবসে ব্যবস্থাপনা পরিচালক
রফিউল ইসলাম টুটুল : খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর খন্দকার আক্তার হোসেন বলেছেন, দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নানামুখী কাজ করে যাচ্ছে খুলনা শিপইয়ার্ড। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে এলাকার স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনমান স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন সময়ে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে, যা এখনো চলমান রয়েছে।তিনি গতকাল শিপইয়ার্ড প্রাঙ্গণে নেভাল এনসাইন-১০ দিবস পালনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন। তিনি এ সময় আরো বলেন, শিপইয়ার্ডে একটি মাধ্যমিক স্কুল ছাড়াও ট্রেনিং স্কুলের মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কাজ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, জাহাজ নির্মাণ শিল্পে খুলনা শিপইয়ার্ডের নাম দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ছড়িয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে খুলনা শিপইয়ার্ড নৌবাহিনীর জন্য দুটি লার্জ পেট্রোল ক্রাফট, পাঁচটি পেট্রোল ক্রাফট, দুটি সাবমেরিন টাগবোটসহ ছোট বড় প্রায় সাতশ’টি জলযান নির্মাণ করেছে। সাফল্যজনক এসব নির্মাণের ফলে জাহাজ নির্মাণ শিল্পে খুলনা শিপইয়ার্ডের গুরুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও খুলনা শিপইয়ার্ড গত ছয় বছর ধরে এ অঞ্চলের সর্বোচ্চ আয়কর প্রদানকারি প্রতিষ্ঠানের স্বীকৃতি লাভ করেছে।
কমোডর খন্দকার আক্তার হোসেন নেভাল এনসাইন-১০ দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু কর্তৃক ৬ টি যুদ্ধজাহাজ ও তিনটি নৌ ঘাঁটি কমিশনিং লাভ করে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু এদিন নৌবাহিনীকে নেভাল এসাইন বা বাহিনীর পতাকা প্রদান করেন। তিনি এ সময় বলেন, নৌবাহিনীর জন্য বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটি স্মরণীয় রাখতে এবারই প্রথম নেভাল এনসাইন-১০ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটিতে খুলনা শিপইয়ার্ডের পক্ষ থেকে দরিদ্রদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ ও স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী পালিত হয়েছে। খুলনা শিপইয়ার্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমোডর খন্দকার আক্তার হোসেন ও জিএম(এডমিন) ক্যাপ্টেন এএমএন দিদারুল আলম রক্তদানের মাধ্যমে এ কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন। অন্যান্যের মধ্যে জিএম(ডিএন্ডপি) ক্যাপ্টেন এম ফিদা হাসান, ডিজিএম(এডমিন)কমান্ডার মাইনুল ইসলাম, ম্যানেজার (এডমিন) মোঃ কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।