নগরীতে ইসলামী আন্দোলনের বিক্ষোভ সমাবেশে আব্দুল আউয়াল সরকার গোলামির জিঞ্জিরে দেশকে আবদ্ধ করেছে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল বলেছেন, সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভারতের গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হয়েছে। মন্দিরে আগুন দেয়ার অজুহাতে কোন প্রকার তদন্ত ছাড়াই দুই সহোদর হাফেজে কুরআন শ্রমিক হত্যাকান্ডের ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে। এ ঘটনা দেশ ও মুসলিম উম্মাহর জন্য অশনিসংকেত। তিনি ফরিদপুরের মধুখালির ঘটনার বিচার দাবি করেন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে নগরীর নিউমার্কেট বায়তুন নূর মসজিদের উত্তর গেটে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর ও জেলার উদ্যোগে ফরিদপুরের মধুখালিতে কতিপয় উগ্র সন্ত্রাসী কর্তৃক নিরীহ হাফেজে কুরআন দুই সহোদর শ্রমিক হত্যায় জড়িতদের দ্রত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা জেলা সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আব্দুল্লাহ ইমরানের সভাপতিত্বে ও নগর সেক্রেটারী মুফতী ইমরান হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, মুফতি মাহবুবুর রহমান, নগর সহ-সভাপতি মুফতী আমানুল্লাহ, শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারী হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, নগর সহ-সভাপতি আবু তাহের, জেলা সহ-সভাপতি মাওলানা শায়খুল ইসলাম বিন হাসান, মাওলানা মুজিবুর রহমান, জয়েন্ট সেক্রেটারি মোহাম্মদ আবু গালিব, মোঃ রেজাউল করীম, অ্যাসিস্টেন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, মুফতি আব্দুল জব্বার আজমি, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা সাইফুল ইসলাম, আব্দুস সাত্তার, প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাওলানা আশরাফুল ইসলাম, মুফতি হেলাল উদ্দিন, গাজী মিজানুর রহমান, শেখ হাসান ওবায়দুল করীম, মোঃ মহিবুল্লাহ, মোঃ হুমায়ুন কবির, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা আসাদুল্লাহ হামিদী, আলহাজ্ব আবুল কাশেম, ডাক্তার মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, এ্যাডঃ কামাল হোসেন, মোহাম্মদ রেজাউল করিম, মাওলানা নাসিম উদ্দিন , বীরমুক্তিযোদ্ধা জিএম কিবরিয়া, মোহাম্মদ রওশন আলী, আলহাজ্ব সরোয়ার বন্দ, ডাক্তার রাকিবুল ইসলাম, আলহাজ্ব আব্দুস সালাম, হাফেজ আব্দুল লতিফ, আলহাজ্ব আমজাদ হোসেন, মোল্লা রবিউল ইসলাম, এস এম শাহিন হোসেন, মাওলানা হারুনুর রশিদ, গাজী ফেরদাউস সুমন, মোঃ এনামুল হাসান, মুফতী মইনুল ইসলাম, নুরুল হুদা সাজু, মাষ্টার মঈনুদ্দিন ভুইঁয়া, মাওলানা আবু সাঈদ, মো ইসমাইল হোসেন, আলহাজ্ব মারুফ হোসেন, ক্বারী জামাল হেসেন, কাজী তোফায়েল হোসেন, মোহাম্মদ কবির হোসেন, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মাসুম, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আব্দুস সালাম, আলফাত হোসেন লিটন, ইসমাইল হোসেন দুলাল, মোঃ কামরুজ্জামান, শ্রমিক নেতা এস এম আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইলিয়াস হোসেন, মোঃ ইব্রাহিম খান, যুবনেতা মুফতি ফজলুল হক ফাহাদ, ইমরান হোসেন মিয়া, আব্দুস সবুর, এস কে নাজমুল হাসান, মোহাম্মদ নাজমুল হোসেন, মোঃ আমজাদ হোসেন, শিক্ষক নেতা মুফতি রবিউল ইসলাম রাফে, মাওলানা মাহবুবুল আলম, ছাত্র নেতা আব্দুল্লাহ ,আল মামুন, আবু রায়হান, ফরহাদ মোল্লা, মাহাদী হাসান মুন্না, মোস্তফা আল গালিব, মোঃ রফিকুল ইসলাম, হাবিবুল্লাহ মেসবাহ, মোঃ বনি আমিন, হাফেজ ওসামা আবরার প্রমুখ।
মাওঃ আব্দুল আউয়াল আরও বলেন, স্যার সলিমুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন মুসলামনদের নামাজ, ইফতার ও ইসলাম চর্চার জন্য, নাস্তিক-মুরতাদদের আঁখড়া বানানোর জন্য নয়।
ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমীর আরও বলেন, সরকার শিক্ষা ব্যব¯’াকে ধ্বংস করে দিয়েছে। শিক্ষায় ভারতের আদলে ক্লাসে নাচ-গানসহ হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি শিক্ষা দি”েছ। তিনি বলেন, জেল-জুলুমসহ যে কোন নির্যাতন বরণ করতে প্রস্তত, তবুও ভারতের গোলামির জিঞ্জিরে আবদ্ধ হবো না।
তিনি আরো বলেন, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, প্রশাসন এবং দেশের জনগণ একটি দেশের কাছে জিম্মি। সরকার মুসলমানের পক্ষে না থেকে ভারতের গোলামি করলে জনগণ ক্ষমা করবে না। মধুখালির ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও প্রশাসন অপরাধীদের কাউকে গ্রেফতার না করা রহস্যজনক। তিনি দাবি করেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে কঠোর বিচার করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাওঃ আব্দুল্লাহ ইমরান বলেন, মুসলিম নেতা স্যার সালিমুল্লাহ প্রতিষ্ঠিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নাস্তিকদের আস্তানা হতে দেয়া যাবে না। তাহলে স্যার সালিমুল্লাহর সাথে গাদ্দারি হয়ে যাবে। ইস্তিসকার নামাযের অনুমতি না দিয়ে ঢাবি প্রশাসন দেশবাসির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। তিনি নাস্তিকমুক্ত ঢাবি গড়ে তুলতে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।
পরে একটি বিশাল বিক্ষোভ মিছিল শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দোয়ার মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।-খবর ঃ বিজ্ঞপ্তির ॥