সংবাদ আপডেট

সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যাতে ১৫ আগস্ট ঘিরে কোনো অপতৎপরতা সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য রাজধানীর শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।

আজ বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকে কয়েকশ নেতাকর্মী শাহবাগের ফুল মার্কেট ও বিভিন্ন ফুটপাতে অবস্থান নেন।

সকাল সাড়ে ৮টায় সরেজমিনে শাহবাগে দেখা যায়, জামায়াত-শিবিরের কয়েকশ নেতাকর্মী শাহবাগের ফুল মার্কেটের সামনে অবস্থান করছেন। কেউ কেউ পাশের দোকান ও ফুটপাতে বসে আছেন। তাদের প্রায় বেশির ভাগের হাতেই প্লাস্টিকের পাইপ রয়েছে, যার মাথায় বাঁধা রয়েছে জাতীয় পতাকা।

কিছুক্ষণ পর পর এসব নেতাকর্মীদের ছোট ছোট দল শাহবাগ মোড়ের আশপাশে ঝটিকা মিছিল করছেন। কেউ কেউ আবার রাস্তায় ট্রাফিকের কাজ করছেন। কয়েকজনকে আবার দেখা গেল সরকারি ও ব্যক্তিগত গাড়ি পরীক্ষা করতে।

পরিচয় গোপন করে অবস্থান নেয়া নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের প্রায় সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী। যদিও সেখানে থাকা জামায়াত ইসলামীর শাহবাগ পশ্চিমের আমির শাহ মো. মাহফুজুল হকের দাবি, সাধারণ ছাত্র-জনতার সঙ্গে তারা অবস্থান নিয়েছেন।

অবস্থান নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা ভারত বসে তার নেতাকর্মীদের ১৫ আগস্টে ঢাকায় আসতে বলেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ শাহবাগসহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ছাত্র-জনতা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।  

শাহ মো. মাহফুজুল হক বলেন, ছাত্র-জনতা রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় পেয়েছে, সেই বিজয়কে কেউ ধূলিসাৎ করবে, নষ্ট করবে, ষড়যন্ত্র করবে, বিপ্লবকে ছিনিয়ে নেবে, তা ছাত্র-জনতা হতে দিবে না। ছাত্র-জনতা মনে করে, রাজপথে যদি তাদের শক্ত অবস্থান থাকে, তাহলে কথিত স্বৈরাচার খুনি হাসিনার দোসররা রাজপথে নামতে পারবে না।  

তিনি বলেন, এখনো শহীদদের রক্তের দাগ মুছেনি, রাজপথ এখনো রক্তে রঞ্জিত। এখনো খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। ছাত্র-জনতা এই খুনি হাসিনার সরকারের সবার বিচার দাবি করছে। আমরা (জামায়াত-শিবির) এ ছাত্র-জনতার সঙ্গে আছি।

বৃহস্পতিবার সারাদিন রাজপথে থাকার কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আজকের পরও যদি তারা (আওয়ামী লীগ) অরাজকতা সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে হয়, তাহলে ছাত্র-জনতা আজকের পরও লাগাতার অবস্থান করবে। কোনোভাবেই খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের রাজপথে ফিরতে দেওয়া হবে না।

আলোচিত সংবাদ

বিজ্ঞাপন