সংবাদ আপডেট

ইসলামবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকায় আমারা গত ১৭ বছর মানুষের কাছে যেতে পারিনি। আল্লাহ তা-আলা খেলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ সৃষ্টি করেছেন।

আমরা বিভিন্ন ইবাদত করবো। কিন্তু সকল ইবাদতের মধ্যে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুম প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব সর্বাধিক এটা আমাদের কাছে স্পষ্ট থাকতে হবে। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে বলেই আমাদের ওপর এত জুলুম নির্যাতন করা হয়। সব ইসলামী দল, মত ও ব্যক্তিত্ব, শায়েখ ওলামায়ে কেরাম, ইসলামি স্কলারদের সঙ্গে সমষ্টিগতভাবে বসছি। এককভাবেও বসছি। জামায়াত আমির বিভিন্ন সময় সভা করছেন, মতবিনিময় করেছেন। আমরা উপলব্ধি করছি যেকোনো সময়য়ের চেয়ে ইসলামী দলের প্রবল ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আকুতি লক্ষ্য করছি। ছোট-খাটো সামান্য মত পার্থক্য আছে। মত পার্থক্যের জায়গায় মত পার্থক্য রেখে মুসলিম উম্মা ও জাতির উদ্দেশ্যে যে সব পয়েন্টে ঐক্যবদ্ধ হওয়া সম্ভব সেই ইস্যুগুলোকে আমরা সামনে নিয়ে ঐক্যের একটা পন্থা বের করেছি। ইসলামী সব দলই আন্তরিকতা দেখাচ্ছে। নতুন করে ষড়যন্ত্র না এলে এই এখলাস ও আন্তরিকতা থাকলে একটি পরিবেশ তৈরি হবে

আজ শ‌নিবার বরিশাল মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে ব‌রিশাল নগরের হেমায়েত উদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে সিরাতুন্নবী (স.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।   এ সময় রাষ্ট্রপ‌তির বিষয়ে জামায়াতের আমির যা বলেছেন তাই তাদের বক্তব্য বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

গত বুধবার (২৩ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রাষ্ট্রপতির বক্তব্য নিয়ে একটি পোস্ট দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। প্রতিবেদনটি দেখে তিনি দারুণভাবে অবাক ও বিস্মিত হয়েছেন বরে মন্তব্য করেন। এমনকি রাষ্ট্রপতিকে অনতিবিলম্বে তার অবস্থান স্পষ্ট করে জনমনে সৃষ্ট বিভ্রান্তি দূর করার আহবান জানান শফিকুর রহমান।

এ বিষয়ে সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের আমির যে স্ট্যাটাস দিয়েছেন সেটিই আমাদের বক্তব্য। সংবিধান নিয়ে একটা অজুহাত দিয়েছে। এই সংবিধানের বিষয় অজুহাত দেওয়া উচিত নয়। গণঅভ্যুত্থানটা কোনো সংবিধান মেনে হয়নি। সবকিছু সংবিধান মেনে করতে হবে এমনটা নয়।

মাহ‌ফিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জামায়াতে সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল। অংশ নেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও বরিশাল জেলা আমির অধ্যাপক আব্দুল জব্বার, ভোলা জেলার সাবেক আমির মুফতি ফজলুল করিম, সরকারি ফজলুল হক কলেজে সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক মাওলানা আব্দুর রব, বাঘিয়া আল আমিন কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মজলিসুল মুফাসিরিনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি হাফেজ মাওলানা কামরুল ইসলাম খান, মুহাম্মাদপুর বি আর আলিম মাদরা্সার অধ্যক্ষ মাওলানা আলী হায়দার নিজামী, বিহারীপুর সিনিয়র মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা মাহমুদুনন্নবী, পাওয়ার হাউস জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আব্দুল গফফার, কলেজ রোড জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা কাওসার হামিদী।

মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্বে এবং মহানগর সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমান ও মহানগর তারবিয়াত সেক্রেটারি হাফেজ মাওলানা আতিকুল্লাহর যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরের সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, মহানগর কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাওলানা হাবিবুর রহমান, মাওলানা জয়নুল আবেদিন, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, আবু আব্দুল্লাহ, তারিকুল ইসলাম, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমিন, মোহাম্মদ জাফর ইকবাল, মোস্তাফিজুর রহমান অধ্যাপক আনোয়ার হোসাইন, অধ্যাপক সুলতানুল আরেফিন, মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট আবুল খায়ের শহিদ প্রমুখ।

আলোচিত সংবাদ

বিজ্ঞাপন