সংবাদ আপডেট

১৯৭৫ সালে আনা সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনী আইন কেন সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক বীর মুক্তিযোদ্ধার করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের দুই বিভাগের সচিব ও জাতীয় সংসদের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ এস এম শাহরিয়ার কবির। আদালতে রিট দায়ের করেন নওগাঁর রানীনগরের নারায়ণপাড়ার বাসিন্দা মো. মোফাজ্জল হোসেন।

১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে চতুর্থ সংশোধনী পাস হয়। এই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে সংসদীয় শাসনপদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতিশাসিত শাসনপদ্ধতি চালু এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলীয় রাজনীতি প্রবর্তন করা হয়।

আইনজীবী শাহরিয়ার কবির সাংবাদিকদের জানান, সর্বোচ্চ আদালত পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন। ফলে চতুর্থ সংশোধনী বহাল থাকে। চতুর্থ সংশোধনীর বেশির ভাগ বিষয় পঞ্চদশ সংশোধনীতে আনা হয়েছে। চতুর্থ সংশোধনীর আগে বাহাত্তরের সংবিধানে রাষ্ট্রপতিকে শপথ পড়াতেন প্রধান বিচারপতি। চতুর্থ সংশোধনীতে এটি স্পিকারের কাছে ন্যস্ত হয়, যা বহাল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বাহাত্তরের সংবিধানে অধস্তন আদালতের বিচারকদের নিয়োগসহ নিয়ন্ত্রণ সুপ্রিম কোর্টের ওপর ন্যস্ত ছিল। কিন্তু চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির অধীনে আইন মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হয়, যা এখনো বহাল রয়েছে। এসব কারণে চতুর্থ সংশোধনী আইন সাংঘর্ষিক ঘোষণা চেয়ে রিটটি করা হয়।

আলোচিত সংবাদ

বিজ্ঞাপন