এখন পর্যন্ত বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কোন প্রতিষেধক তৈরি করতে পারেনি কোন দেশ। তাই এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, হেড ক্যাপ, গ্লাভসই একমাত্র ভরসা। তাতেও করোনার প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। সারা বিশ্বে তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। স্পেনে করোনার প্রকোপ কিছুটা কমেছে। তবুও সেখানকার তারকারা ঝুঁকি নিচ্ছেন না। সাবধানতা অবলম্বন করেই খেলতে নামছেন তাঁরা। লিওনেল মেসির মতো কেউ কেউ আবার বাড়িতেও বাড়তি সতর্ক। মেসি এখন ব্যবহার করছেন করোনা প্রতিরোধক তোশক।

মেসি অবশ্য সেই তোশক কেনেননি। যে সংস্থা এই তোশক তৈরি করেছে তাঁরাই বার্সেলোনার তারকাকে এটি উপহার দিয়েছে। এই তোশক চার ঘণ্টার মধ্যে করোনার জীবাণু মারতে সক্ষম বলে দাবি করেছে প্রস্ততকারক সংস্থা।‘টেক মুন’ নামের সেই তোশকের উপর এখন মেসি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ঘুমোচ্ছেন। মেসি, সল নিগেজ ও সার্জিও আগুয়েরো, তিনজনকেই এই তোশক উপহার দিয়েছে প্রস্তুতকারক সংস্থা। এই তোশক ৯৯.৮৪ শতাংশ করোনার জীবাণু ধংস করতে সক্ষম বলে দাবি করা হয়েছে। মেসির এই তোশক নিয়েই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর আলোচনা চলছে।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভো জানিয়েছে, এই তোশকের সুতোয় অতি সুক্ষ কণা। সেই কণা ভাইরাস মারতে সক্ষম। করোনা আক্রান্ত কেউ এই তোশকে ঘুমোলে তাঁর শরীরে থাকা করোনার জীবাণু মেরে ফেলতে পারবে এই তোশক। করোনার থেকেও পাঁচ গুণ ছোট জীবানুনাশক কণা ব্যবহার করে এই তোশক তৈরি করা হয়েছে। এই প্রতিরোধ ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভাইরাক্লিন’। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ মিডফিল্ডার নিগেজ এই তোশক প্রস্তুতকারক সংস্থার ব্র্যান্ড আম্বাসাডর। তিনি আবার জানিয়েছেন, এই তোশকে শরীর এলিয়ে দিলেই তাড়াতাড়ি ঘুম চলে আসবে।