এবার আইপিএলে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান। খেলছেন দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে। আর তাকে পেয়ে খুশি ফ্রাঞ্জাইজিটি। বাংলাদেশি কাটার মাস্টারকে তারা খুব ভালোভাবেই গ্রহণ করেছে এবং সেটার জানান দিচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়ও। ফিজকে নিয়েই প্রথমবারের মতো শিরোপা জেতার স্বপ্ন দেখছে দিল্লি।মুস্তাফিজকে নিয়ে দিল্লি ক্যাপিটালস কর্তৃপক্ষ খুশি হলেও একটি দিক দিয়ে তারা কিছুটা সমস্যায় রয়েছে। ফিজ যে ইংরেজিতে দুর্বল। কেবল বাংলা বলতে পারেন, তাও খুব কম কথা বলেন। এমন অবস্থায় মুস্তাফিজের সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ করতে দিল্লির টিম ম্যানেজম্যান্ট ও খেলোয়াড়রা এখন বাংলা শিখছেন!এইতো কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। সেটিতে দেখা যায়, ডেভিড ওয়ার্নার একজনকে উদ্দেশ করে বলছেন, ‘কেমন আছো? আমি তোমাকে ভালোবাসি! গুড টু সি ইউ (তোমাকে দেখে খুশি হলাম)।’ কাকে উদ্দেশ করে বলা, তার নাম উল্লেখ না করলেও পাঠকরা এরই মধ্যে হয়তো বুঝে গেছেন।অবশ্য ওয়ার্নার এমন বাংলা শিখেছেন আরও কয়েকবছর আগে। তখন ওয়ার্নার ও মুস্তাফিজ সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে খেলতেন। ২০১৬ সালে শিরোপা জিতেছিল দলটি। সেবার ফ্রাঞ্জাইজিটির অধিনায়ক ছিলেন ওয়ার্নার এবং টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতেছিলেন মুস্তাফিজ। এখন মোটামুটি টুকটাক ইংরেজি বলতে পারলেও তখন তাও পারতেন না ফিজ। তাই উল্টো বাংলা শিখে ফেলেন ওয়ার্নার ও হায়দ্রাবাদের কোচ টম মুডি।পরবর্তীতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে এক মৌসুম খেলেছিলেন মুস্তাফিজ। সেবার তার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য একজন ট্রান্সলেটরও নিয়োগ দেয় তারা। বাংলাদেশ থেকে উড়িয়ে নিয়ে যায় সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালকে। গত আসরে রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন সাতক্ষীরা এক্সপ্রেস। সেখানেও বাংলা ভাষার চর্চা দেখা গেছে। মুস্তাফিজকে নিয়ে প্রায় সময় বাংলাতেই পোস্ট দিতো তারা।এবার দিল্লিতেও একই চিত্র দেখা যাচ্ছে। এদিকে, ওয়ার্নারের ভালোবাসার উত্তরে বাংলায় পোস্ট দিয়ে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন মুস্তাফিজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই কাটার মাস্টার লিখেছেন, ‘আমিও তোমাকে ভালোবাসি ডেভিড ওয়ার্নার।’