আদালতের রায় নিয়ে
সরে দাঁড়ালো এক পক্ষ

স্টাফ রিপোর্টার ঃ আদালতের আদেশের আলোকে এক পক্ষ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন আজ শনিবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিসিডিএস’র প্রশাসক মো: ওবায়দুল আজম, নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান সফিউদ্দিন আহমেদ এবং সদস্য মো: জাহাঙ্গীর হোসেন খান ও দীপক কুমার পাল স্বাক্ষরিত গতকালকের এক বিজ্ঞপ্তিতে আজ সকাল নয়টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানানো হয়।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা বিভাগের ভোট ইংলিশ রোডের ফজলুল করিম কমিউনিটি সেন্টারে, চট্টগ্রাম বিভাগের ভোট আন্দরকিল্লা রহমতগঞ্জের জে এম সেন হলে, সিলেট বিভাগের ভোট দরগা গেইটের কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদে, রাজশাহী বিভাগের ভোট স্টেশন রোডের চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রিতে, খুলনা বিভাগের ভোট সোনাডাঙ্গা বাইপাসের খুলনা কনভেনশন সেন্টারে, বরিশাল বিভাগের ভোট বরিশাল ক্লাবে, ময়মনসিংহ বিভাগের ভোট কাচারী মোড়ের অনুভব কমিউনিটি সেন্টারে এবং রংপুর বিভাগের ভোট রংপুর সেনানিবাসের শীতল কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে ভোটারদেরকে পরিচয়পত্র সাথে রাখাসহ ছয়দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে গতকাল পর্যন্ত খুলনার অনেক ভোটারের কাছেই পরিচয়পত্র পৌঁছেনি বলে জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে অবশ্য বিসিডিএস’র খুলনা শাখার মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এবং আজকের নির্বাচনের বাচ্চু-বাবলু পরিষদের পরিচালক প্রার্থী কবির উদ্দিন বাবলু বলেন, প্রতিটি থানা বা শাখার ভোটারদের পরিচয়পত্র কেন্দ্রের পাশেই সংরক্ষিত থাকবে। ভোটাররা সেখান থেকে পরিচয়পত্র নিয়েই ভোট দিতে পারবেন। এভাবেই বিগত কয়েক বছর ধরে চলে আসছে বলেও তিনি জানান।
ভোট প্রতিহত করার ঘোষণা মোজাম্মেল-কামাল পরিষদের ঃ এদিকে, আজকের নির্বাচনের ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে উল্লেখ করে মোজাম্মেল-কামাল পরিষদের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, বিসিডিএস’র সাবেক সহ-সভাপতি আবু বকর সিদ্দিকী। এসময় মোজাম্মেল-কামাল পরিষদের পরিচালক প্রার্থী ও খুলনা শাখার মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি মো: মোজাম্মেল হক, বিসিডিএস’র কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি আলহাজ¦ সাদেকুর রহমান, বিসিডিএস নেতা জসিম উদ্দিন, আলহাজ¦ দ্বীন আলীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিসিডিএস নির্বাচন উপলক্ষে সর্বশেষ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ২৩ ফেব্রুয়ারির রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে নতুন নির্বাচন তফসিল ঘোষণার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু উক্ত রায়ের ২৩দিন পর অর্থাৎ ১৬ মার্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে সংশোধিত তফসিল ঘোষণা করা হয়। যা আদালত অবমাননার সামিল। যেখানে শুধু মনোনয়নপত্র বিক্রি ও দাখিলের সুযোগ দেয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, প্রায় সকল ভোটর সদস্যের মেয়াদ ৩০ জুন ২০২১ শেষ হলেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ না করে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।
এছাড়া আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী গত পয়লা এপ্রিল প্রশাসক নিয়োগ হওয়ার পর ৫ এপ্রিল বাতিলকৃত নির্বাচন বোর্ডের বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দেয়া হলেও প্রশাসক এখন পর্যন্ত সকল প্রার্থীর সাথে আলোচনা করেননি। আবার বিভিন্ন অনিয়মের কারণে নির্বাচনী আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান ইমদাদুল হক গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন। অর্থাৎ নতুন আপিল বোর্ড গঠন না করেই এই বিতর্কিত নির্বাচন বোর্ড কতিপয় মনোনয়ন চূড়ান্ত গ্রহণ ও বাতিল করে যা আইনগত গ্রহণযোগ্য নয়।
এভাবে নানা অভিযোগ তুলে ধরে আজকের নির্বাচন বাতিলের দাবি জানিয়ে বলা হয়, আইন অমান্য করে অবৈধ নির্বাচন করা হলে তারা তা’ প্রতিহত করবেন। এবং এ নিয়ে কোন সংকট তৈরি হলে তার দায়ভার নির্বাচন বোর্ড ও প্রশাসককে বহন করতে হবে।
এ ব্যাপারে গতকাল বিকেলে বিসিডিএস’র প্রশাসক মো: ওবায়দুল আজমকে ফোন দেয়া হলে তিনি মিটিংয়ে থাকার কারণে কোন মন্তব্য করতে পারেননি।
এছাড়া খুলনা শাখার রিটার্নিং অফিসার সৈয়দ মাসুদ আলীর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি গতকাল দিনভর বন্ধ পাওয়া যায়।