# দু’সপ্তাহ ধরে প্রথম ডোজ বন্ধ

এইচ এম আলাউদ্দিন ঃ মজুদ ফুরিয়ে আসছে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজের। খুলনায় রয়েছে ১৩ হাজার ৩৮টি ভ্যাকসিন। পক্ষান্তরে গত ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন এমন নাগরিকের সংখ্যা এক লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৭ জন। আর গত ৫ এপ্রিল পর্যন্ত প্রথম ডোজ নেন এক লাখ ৬৭ হাজার ৫৫৩জন। কিন্তু ওইদিন(৫এপ্রিল) খুলনায় দ্বিতীয় ডোজের টিকা আসে এক লাখ ২৫ হাজার। প্রথম ডোজ চলমান থাকার পাশাপাশি খুলনায় ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজেরও টিকা দেয়া শুরু হয়। শুরুতে সিভিল সার্জন বলেছিলেন, মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই হয়তো দ্বিতীয় ডোজের জন্য নির্দিষ্ট হারের টিকা খুলনায় এসে পৌঁছবে। কিন্তু মজুদ না থাকায় গত ২৬ এপ্রিল থেকে যেমন প্রথম ডোজের টিকা দেয়া বন্ধ রয়েছে তেমনি দ্বিতীয় ডোজের জন্য যে টিকা রয়েছে তাতে আর হয়তো তিন থেকে পাঁচদিন চলতে পারে। ঈদের আগে আর মাত্র দু’দিন টিকা দেয়ার সুযোগ রয়েছে। অর্থাৎ ঈদের পর পরই খুলনায় আনতে হবে আরও ৫০ হাজার ৯৫৭টি টিকা। এ প্রসঙ্গে খুলনার সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, সরকার চেষ্টা করছে। হয়তো মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই চাহিদা মাফিক টিকা খুলনায় পৌঁছবে।
সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সূত্রটি বলছে, মহানগরীসহ খুলনা জেলায় এ পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন এক লাখ ৭৫ হাজার ৯৫৭ জন। কিন্তু গতকাল পর্যন্ত দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন এক লাখ ১১ হাজার ৬২০জন। অর্থাৎ এখনও দ্বিতীয় ডোজের জন্য বাকী রয়েছেন ৬৪ হাজার ৩৩৭ জন। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা মজুদ রয়েছে ১৩ হাজার ৩৮০টি। বর্তমানে যে হারে টিকা দেয়া অব্যাহত আছে তাতে আর তিন থেকে পাঁচদিন চলতে পারে। দ্বিতীয় ডোজের জন্য ঈদের আগেই এনে মজুদ না রাখলে দ্বিতীয় ডোজও দেয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে এমন আশংকাও করছেন অনেকে।
সূত্রটি জানায়, অনলাইন রেজিষ্ট্রেশনের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হওয়ার পর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে খুলনায় করোনাভাইরাসের টিকা দেয়া শুরু হয়। আর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া শুরু হয় ৮ এপ্রিল থেকে। অর্থাৎ ৮ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত খুলনা মহানগরীর পাঁচটি এবং জেলার নয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কেন্দ্রে প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকাদান অব্যাহত ছিল। হঠাৎ করে মজুদ ফুরিয়ে যাওয়ায় ২৬ এপ্রিলের পর থেকে প্রথম ডোজের টিকাদান বন্ধ রয়েছে।
গতকাল রোববার খুলনায় সর্বমোট তিন হাজার ৬৩৬জনকে দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেয়া হয়। এ নিয়ে দ্বিতীয় ডোজের সর্বমোট টিকা দেয়া হয় এক লাখ ১১ হাজার ৬২০জনকে। এর মধ্যে পুরুষ রয়েছেন ৬৮ হাজার ৬৪৯জন এবং নারী ৪২ হাজার ৯৭১জন। গতকাল কেসিসির পাঁচটি কেন্দ্রে এক হাজার ২৪০ জনকে এবং নয় উপজেলার নয়টি কেন্দ্রে দু’হাজার ৩৯৬ জনকে দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন দেয়া হয়। নগরীর পাঁচটি কেন্দ্রের মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, জেনারেল হাসপাতাল, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল ও পুলিশ হাসপাতালে সাধারণ নাগরিকদের এবং নেভি হাসপাতালে শুধুমাত্র নৌ-বাহিনীর সদস্যদের করোনা ভ্যাকসিন দেয়া হয়।