# নেগেটিভ রিপোর্ট নিয়েই বিদেশগমন!

স্টাফ রিপোর্টার ঃ বিদেশগামী এবং সাধারণ রোগীদের করোনা পরীক্ষার জন্য খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দিয়ে পরীক্ষার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাবে পাঠানোর আগেই কিভাবে ফলাফল অনলাইনে পাওয়া যায় সেটি তদন্তের জন্য পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদকে প্রধান করে গঠিত এ কমিটিকে তিন দিনের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। সিভিল সার্জন কাম তত্ত্বাবধায়ক নিজেই গতকাল মঙ্গলবার এ তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য সচিব করা হয় খুলনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: এস এম মুরাদ হোসেনকে। অপর তিন সদস্য হলেন, সিনিয়র কনসালটেন্ট(সার্জারী) ডা: মো: রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র কনসালটেন্ট(শিশু) (চ:দা:) ডা: রানা কুমার বিশ^াস ও জুনিয়র কনসালটেন্ট(ইএনটি) ডা: কাজী আবু রাশেদ।
এদিকে, হৃদয় বিশ^াস নামের গোপালগঞ্জের যে ব্যবসায়ী খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দিয়ে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত পরশু ঢাকায় অবস্থানকালে এ জালিয়াতির ঘটনা প্রকাশ পায় সেই হৃদয় বিশ^াসকে গতকাল মঙ্গলবার থেকে মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে না। তার দেয়া তথ্য মতে গতকাল সকাল দশটায় ছিল তার বিমান। এজন্য মনে করা হচ্ছে অনলাইন থেকে আগেই প্রিন্ট দিয়ে রাখা নেগেটিভ ফলাফলের ভিত্তিতে তিনি হয়তো গতকাল সকালেই বিমানযোগে ভারতে গেছেন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের একাধিক সূত্র জানায়, সেখানের মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট(ল্যাব:) প্রকাশ কুমার দাসের বিরুদ্ধে বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার টাকা আত্মসাতের যে অভিযোগ তৎকালীন সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ করেছিলেন তার ভিত্তিতেই তিনি(প্রকাশ দাস) এখন খুলনা জেলা কারাগারে অবস্থান করছেন। তার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনে মামলাও রয়েছে। তবে প্রকাশের অবর্তমানে বর্তমানে ওই স্থানে যিনি দায়িত্ব পালন করছেন তার নেতৃত্বে ইতোমধ্যে একটি চক্র গড়ে উঠেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। যে চক্রের মাধ্যমে এখনও করোনার নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে আদায়কৃত অর্থ তছরুপের ঘটনা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জনশ্রুতি রয়েছে। যার সর্বশেষ প্রমাণ সোমবারের চার ব্যক্তির নমুনা ল্যাবে যাওয়ার আগেই অনলাইনে ফলাফল আপলোড করা।
খুলনার সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ বলেন, এমন তথ্য পাওয়ার পর পরই তিনি সোমবার রাতে খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা: শাহনাজ পারভীনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। কিভাবে নমুনা পাঠানোর আগেই অনলাইনে ফলাফল আপলোড হলো সেটি খতিয়ে দেখার জন্য তার কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি তার নেতৃত্বে গঠিত কমিটিও তদন্ত করে দেখবে কারা এর সাথে জড়িত।