ক্রাইস্টচার্চের উইকেট যেমন আচরণ করার কথা ছিল, সেটা আর হয়নি। ফলে সুবিধা আদায়ের বদলি ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশি পেসারদের। এতে অবশ্য পেসারদেরও কিছুটা দায় দেখছেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ ওটিস গিবসন।

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। উইকেটের যে অবস্থা তাতে নিউজিল্যান্ড টসে জিতলে তারাও একই সিদ্ধান্ত নিতো। কিন্তু সব সম্ভাবনায় গুড়ে বালি দিয়ে প্রথম দিন (৯ জানুয়ারি) শেষে বড় সংগ্রহের পথে কিউরা। মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে রান তুলেছে ৩৪৯।

একাই ১৮৬ রান করে অপরাজিত আছেন স্বাগতিক অধিনায়ক টম লাথাম। তিনি বল মোকাবিলা করেছেন মাত্র ২৭৮টি। অপর অপরাজিত ব্যাটার ডেভন কনওয়ে ৯৯ রান করেছেন। দুজনের জুটি দাঁড়িয়েছে ২০১ রানে। অন্যদিকে, পুরো দিনে উল্লেখ করার মতো তেমন কোনো সুযোগই তৈরি করতে পারেননি বাংলাদেশি বোলাররা। দিনের খেলা শেষে ওটিস গিবসনের কন্ঠেও পেসারদের ব্যর্থতা ওঠে আসলো।

একাই ১৮৬ রান করে অপরাজিত আছেন কিউই অধিনায়ক টম লাথাম। ছবি: গেট্টি ইমেজ

ওটিস গিবসন বলেন, ‘তারা (নিউজিল্যান্ড) সত্যিই অনেক ভালো খেলেছে। গত সপ্তাহের (মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট) মতো আমরা ভালো করতে পারিনি। ল্যাথাম দারুণ খেলেছে, সকালে ভালো বলগুলো ছেড়ে দিচ্ছিল এবং আমাদের বল করে যেতে বাধ্য করেছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা চাপ সৃষ্টি করার মত যথেষ্ট ভালো বল করতে পারিনি। কনওয়ে অবিশ্বাস্য ফর্মে আছে।’

যে আশায় বাংলাদেশ টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই অনুযায়ী আচরণ করেনি ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের প্রথম দিনের উইকেট। এমন দাবি করে টাইগারদের পেস বোলিং কোচ বলেন, ‘পিচে আশানুরূপ সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না, আমরা ভালো বলও করতে পারিনি। নয়তো ফল ভিন্ন হতে পারতো। ছেলেরা ভালো করার চেষ্টা করে গেছে। পেসারদের মধ্যে এবাদতই সবচেয়ে অভিজ্ঞ। এই ম্যাচসহ সে খেলেছে মোটে ১২ ম্যাচ। তাসকিনের এটা নবম ম্যাচ। আর শরিফুল খেলছে তৃতীয়। তাই এটা তাদের জন্য শিক্ষা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কঠিন, এখানে সব পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়।’