খুলনা থেকে ১৭ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যায় ইমাদ পরিবহন

খুলনা থেকে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে ইমাদ পরিবহনের বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গিয়েছিল। পথিমধ্যে বাগেরহাটের ফকিরহাট ও গোপালগঞ্জ থেকেও আরও যাত্রী ওঠে বাসটিতে। মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর এলাকায় যাওয়ার পর বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে ২০ জন যাত্রী নিহত হয়। নিহতদের মধ্যে চারজন রয়েছেন খুলনার যাত্রী।নিহত খুলনার যাত্রীরা হলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার পরিমল সাধু খাঁর ছেলে মহাদেব কুমার সাধু খাঁ এবং খুলনা মহানগরী এলাকার শেখ মোহম্মদ আলীর ছেলে শেখ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, চিত্তরঞ্জন ঘোষের ছেলে চিন্ময় প্রসন্ন ঘোষ ও শাহাজাহান মোল্লার ছেলে আশরাফুল আলম লিঙ্কন।খুলনার রয়্যাল মোড়ের কাউন্টার মাস্টার মো. শাফায়েত হোসেন মামুন জানান, রোববার ভোর ৫টার দিকে ৪ জন যাত্রী নিয়ে ইমাদ পরিবহনের ২০৩ কোচ সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে যায়। সেখান থেকে আরও কয়েকজন যাত্রী নিয়ে বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।ইমাদ পরিবহনের খুলনা জোনের ম্যানেজার জাকির হোসেন জানান, ভোরে খুলনার ফুলতলা থেকে একজন যাত্রী নিয়ে বাস রয়্যাল মোড়ের কাউন্টারের সামনে আসে। রয়্যাল মোড় থেকে কয়েকজন যাত্রী নিয়ে সোনাডাঙ্গা বাস টার্মিনালে যায়। এখান থেকে মোট ১৭ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। পথিমধ্যে বাগেরহাটের ফকিরহাট ও গোপালগঞ্জ থেকে আরও যাত্রী ওঠে বাসটিতে।মাদারীপুরের শিবপুর উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ইমাদ পরিবহন দুর্ঘটনায় ২০ জন যাত্রী নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে চার জন রয়েছেন খুলনার।
দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন খুলনার ফুলতলা উপজেলার দামোদর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাইফুল ইসলাম (৪০)। সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মঞ্জুর হাসান জানান, তার ভাই মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। দুর্ঘটনার পর সাইফুল ইসলামকে প্রথমে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। বিকালে তাকে চিকিৎসার জন্য অ্যাম্বুলেন্সে খুলনায় নিয়ে আসা হচ্ছে বলে জানান হাসান।এদিকে, নিহত আশরাফুল আলম লিংকনের একজন স্বজন বলেন, আমাদের মানসিক অবস্থা খুবই খারাপ। আমাদের কথা বলার অবস্থা নেই।সোনাডাঙ্গা থেকে ওঠা ইমাদ পরিবহনে ওঠা যাত্রী রফিকুল ইসলাম বলেন, অলৌকিকভাবে তিনি বেঁচে গেছেন। তিনি পরিবহনের পেছনের সিটে বসা ছিলেন। কীভাবে কী ঘটে গেল তা তিনি বলতে পারছেন না। তবে তিনি সুস্থ আছেন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগটি বিচ্ছিন্ন করে দেন।