শহর রক্ষা বাঁধের দাবি উপকূলবাসীর
এম.পলাশ শরীফ,মোরেলগঞ্জঃ সাগরের সৃষ্টি লগুচাপ ঘূর্ণিঝড় ‘শক্তির’ প্রভাবে উপকূলীয় বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে পৌর শহর সহ ২০ গ্রাম, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্লাবিত হয়ে জনজীবনে বিপর্যন্ত নেমে এসেছে। গত ৩ দিন ধরে জোয়ারের পানিতে দু’বার ভাসছে পৌরবাসি। ১১০ হেক্টর আউশ বীজতলা ক্ষতির আশংকায় কৃষকেরা। স্থানীয়দের দাবি টেকশই ভেরিবাঁধ ও শহর রক্ষা বাঁধের।
শহরের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সরেজমিনে খোঁজ খবর নেন বাগেরহাট-৪, মোরেলগঞ্জ-শরণখোলা আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী বাগেরহাট জেলা বিএনপির সদস্য কাজী খায়রুজ্জামান শিপন বলেন, বিগত ১৭ বছরে এ পৌরসভায় কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। পৌরবাসী নাগরিক সেবা থেকে হয়েছে বঞ্চিত। শহর রক্ষা বাঁধের দাবি জানান স্থানীয় পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রনালয়ের উপদেষ্টার প্রতি।
শুক্রবার সরেজমিনে জানাগেছে, সাগরে সৃষ্টি লগুচাপের প্রভাবে গত বুধ ও বৃহস্পতিবার দুই দিনের টানা বর্ষণ ও অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে পৌরশহর সহ পানগুছি নদীর তীরবর্তী গাবতলা, কাঠালতলা, খাউলিয়া, সন্ন্যাসী, মধ্য বরিশাল, ফাসিয়াতলা, বারইখালীর কাস্মির, শত শত পরিবারের রান্না খাওয়া বন্ধ হয়েগেছে। শহরের ড্রেনগুলো পঃয়নিষ্কাশন না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বাজার, কাপুড়িয়া পট্টি সড়ক, কলেজ রোড, কেজি স্কুল সড়ক, কৃষি ব্যাংক সড়ক, নব্বইরশী বাসষ্ট্রান্ড, মেইন সড়কগুলোতে ৫/৬ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে প্রতিটি দোকানে পানি প্রবেশ করে ক্রয় বিক্রয় বন্ধ রয়েছে ১০ টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। শহরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাশ রুমে পানি ঢুকে পড়ায় পাঠদান ব্যহত। দূর পাল্লার নৌ চলাচল যাত্রিবাহী গাড়িও বন্ধ হয়ে যায়।
কথা হয় পৌর শহরের বাসিন্দা মশিউর রহমান মাসুম, আসাদুজ্জামান মিলন, নির্মল সাহা, হায়দার শেখ, ব্যবসায়ী পরিতোষ চক্রবর্তী বলেন, পূর্নিমার জোয়ার এলেই এভাবে গত ১০/১৫ বছর পৌরসভায় দিনে দু’বার পানিতে তলিয়ে যায়। ব্যবসায়ী ও বাসাবাড়িতে লোকজনের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। পৌরসভায় পানি নিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই। ৫/৭ টি ড্রেন থাকলেও তা নিয়মিত পৌর কর্তৃপক্ষ পঃয় নিষ্কাশন ব্যবস্থা করছে না। আমাদের এ দুর্ভোগ আর কতকাল পোহাতে হবে।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল্লাহ বলেন, জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে পৌর শহরের যেসব এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তিনি সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ খবর নিয়েছেন। কয়েকটি পয়েন্টে পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে ।