আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের সঙ্গে এই সিরিজে বাংলাদেশের প্রাপ্তি অনেক। এই সিরিজে নিজেদের রেকর্ড ভাঙ্গা-গড়ার খেলায় মেতেছিল টাইগাররা।প্রথম ওয়ানডে দিয়েই রেকর্ড ভাঙ্গা শুরু করেছিল বাংলাদেশ দল। প্রথম ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। যা ছিল বাংলাদেশের দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। ৩৩৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫৫ রানে গুটিয়ে যায় আয়ারল্যান্ড। ফলে ১৮৩ রানের বিশাল জয়ে সিরিজ শুরু করে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে সর্বোচ্চ রান ব্যবধানের জয়ের রেকর্ড গড়ে টাইগাররা।এরপর দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত। তবে এই ম্যাচেও রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকের রেকর্ড ভাঙ্গা সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪৯ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। ৬০ বলে সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক হন মুশফিক। এর আগে বাংলাদেশের পক্ষে দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন সাকিব আল হাসান।২০০৯ সালের ১১ আগস্ট বুলাওয়েতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব। সাকিবের সেই রেকর্ড ভেঙ্গে দেন মুশফিক। আর ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে নিজেদের সর্বোচ্চ রানের নতুন রেকর্ড গড়ে টাইগাররা। মুশফিকুর রহিম।
আর তৃতীয় ও শেষ ওয়ানতে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে টাইগার পেসারদের বোলিং তোপে মাত্র ১০১ রানে গুটিয়ে যায় আইরিশরা। হাসান মাহমুদ ৫টি, তাসকিন আহমেদ ৩টি ও এবাদত হোসেন নেন ১টি উইকেট। এই প্রথম প্রতিপক্ষের সবগুলো উইকেট তুলে নিয়েছে পেসাররা। এরপর ১০২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই টাইগার ওপেনার তামিম ইকবাল ও লিটন দাসের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২২১ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ। যা উইকেটের দিক থেকে সবচেয়ে বড় জয় বাংলাদেশের। এই প্রথম ১০ উইকেটে জয়ে স্বাদ গ্রহণ করে টাইগাররা। এর আগে পাঁচবার ৯ উইকেটে জয়ের রেকর্ড ছিল বাংলাদেশের।