পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের ঝুলিপাড়া সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে রাজু ইসলাম (৩৫) নামের এক বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাজু ওই এলাকার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে। মরদেহের সুরতহালে তার দুই পায়ে গুলির ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, বিএসএফের গুলিতে তার মৃত্যু হয়েছে। যদিও বিজিবি ও বিএসএফ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিহত যুবকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, রাতে সীমান্ত এলাকা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাজুকে বাড়িতে নিয়ে আসে।পরে সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। একই সাথে বিজিবির ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তারা।
হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নূর-ই-আলম বলেন, এটা স্পষ্ট যে বিএসএফের গুলিতে রাজুর মৃত্যু হয়েছে।কিন্তু কেন জানি বিষয়টি নিয়ে লুকোচুরি করছে বিজিবি ও তার পরিবার। তার দুই পায়ে গুলির স্পষ্ট ক্ষত থাকার পরও তারা বলছে হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে। এর আগেও এই সীমান্তে একাধিক ব্যক্তি বিএসএফের গুলিতে মারা গেছে। এখানে কিছু অংশ কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় চোরাকারবারিরা গরু আনতে এই পথ ব্যবহার করে।
পঞ্চগড় সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শইমী ইমতিয়াজ বলেন, এটা নিশ্চিত যে ওই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন।আমরা তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে কর্নেল শেখ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, গত রাতে ওই সীমান্তে কোন গুলির ঘটনা ঘটেনি। আমরা বিএসএফের সাথে যোগাযোগ করেছি তারাও বিষয়টি অস্বীকার করেছে। গুলির ঘটনা ঘটলে বিকট শব্দ হয় অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায়। আমাদের দুটি দল সীমান্তে মোতায়েন ছিলো তারা কোন গুলির শব্দ শোনেনি। এছাড়া আমরা নিহত যুবকের পরিবারের সাথে কথা বলেছি তারা বলেছে হ্যাট অ্যাটাক করে মারা গেছে। তার পায়ে ক্ষতর কথা বললেও সেটা কিসের ক্ষত তারা বলেনি।