খুলনার আলোচিত পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত দাসকে স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্র-জনতা মারধর করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদ (এনসিপি)-এর নেতাকর্মীরা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
ঘটনার সূত্রপাত হয় মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে। এসআই সুকান্ত একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে ফুলতলার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে খুলনা শহরের ইস্টার্ন গেট এলাকায় তাকে চিনে ফেলেন বিএনপি ও ছাত্রজনতার কয়েকজন সদস্য। তারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে প্রকাশ্যে মারধর করেন। পরে উত্তেজিত জনতা তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
ঘটনার পরপরই স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র-জনতার ওপর দমন-পীড়নে জড়িত ছিলেন এসআই সুকান্ত। তার বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে ছাত্রদের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে, যা বর্তমানে ডিবি পুলিশের তদন্তাধীন। এছাড়া বিএনপি নেতা শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়ও তার সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
তবে স্থানীয়দের হাতে আটক হওয়ার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে এনসিপি ও অন্যান্য ভুক্তভোগী সংগঠনগুলো। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর থেকে তারা কেএমপি সদর দপ্তরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে এবং সড়ক অবরোধ করে রাখে।
বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, “আসামি হয়েও সুকান্ত দাসকে ছেড়ে দিয়ে পুলিশ দায়িত্বহীনতা ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। খুলনার মতো স্পর্শকাতর এলাকায় এমন আচরণ গণমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে না।” তারা পুলিশ কমিশনারের জবাবদিহির দাবি জানান এবং তার পদত্যাগ দাবি করেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল। কেএমপির পক্ষ থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি
