আজ খুলনায় স্মারকলিপি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ পদ্মা সেতুতে মটর সাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ এবং ঈদের আগে-পরের সাতদিন সারাদেশে মটর সাইকেল চলাচলের ওপর বিধি নিষেধ জারি করার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠছে সারাদেশের মটর সাইকেল চালকরা। এ ব্যাপারে গতকাল সোমবার দ্বিতীয় মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে খুলনার জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মটর সাইকেল ব্যবহারকারীরা।
এদিকে, রোববার সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক জেলার মটর সাইকেল অন্য জেলায় ঈদের সাতদিন চলবে না বলে যে সিদ্ধান্ত হয়েছে ওই সিদ্ধান্তের পর বিআরটিএ খুলনা সার্কেলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনায় এ পর্যন্ত মোট ৯৪ হাজার ৪৭৯টি মটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন রয়েছে। এছাড়া খুলনার রেজিষ্ট্রেশন নয় তবে এ জেলায় চলছে আরও কয়েক হাজার মটর সাইকেল। আবার খুলনার রেজিষ্ট্রেশন হলেও অনেক মটর সাইকেল চলছে অন্য জেলায়। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়ের ওই সিদ্ধান্ত যদি বাস্তবায়ন করতেই হয় তাহলে অনেক মটর সাইকেলই চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।
এ প্রসঙ্গে মটর সাইকেল চালকরা বলেন, প্রকৃতপক্ষে মটর সাইকেল অনেকের দৈনন্দিন জীবনে একটি অপরিহার্য বাহন। যা আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এছাড়াও মটর সাইকেল প্রাত্যহিক জীবন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে তরুণ পেশাজীবীদের জন্য মটর সাইকেল চলাচলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এছাড়া করোনাকালীন সময়ে মটর সাইকেলের ব্যবহার ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। যা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে করোনা প্রতিরোধে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমানে করোনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং করোনা মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মটর সাইকেল একটি অপরিহার্য বাহন বলেও তারা দ্রুত সরকারি এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।