স্টাফ রিপোর্টার ঃ ‘নবীর(স:) শিক্ষা, করোনা ভিক্ষা, মেহনত করো সবে’। বাস্তব জীবনে এ শিক্ষাটি অনেকেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আক্তার শেখ নামের এক ব্যক্তির জীবনে এ শিক্ষা আর কাজে লাগানো সম্ভব হচ্ছে না। তার এখন একমাত্র প্রত্যাশা শুধু একটু ভিক্ষার সম্বল। প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করেই জীবন চালানো তার একমাত্র চাওয়া। কেননা স্ট্রোকে আক্রান্ত আক্তার শেখ এখন আর কাজ করতে পারছেন না। সম্প্রতি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের একটি মসজিদের সামনে মেয়েকে নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য আসা আক্তার শেখ বললেন, একটি হুইল চেয়ার হলে তাতে তার মেয়েকে নিয়েই তিনি মসজিদে মসজিদে গিয়ে ভিক্ষা করে সংসার চালাতে পারতেন।
আক্তার শেখ গোপালগঞ্জের সদর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা হলেও বর্তমানে বাস করেন, খুলনা মহানগরীর বয়রা এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। স্ত্রী ও দু’টি সন্তান রয়েছে তার পরিবারে। এক মেয়ে বিবাহিত এবং জামাই একটি ইটের ভাটায় কাজ করেন। যে দু’টি সন্তান তার সংসারে রয়েছে তার মধ্যে মেয়েটি প্রতিবন্ধী এবং ছেলের বয়স পাঁচ বছর। আক্তার শেখ এক সময় দিনমজুরী করে সংসার চালাতেন। কিন্তু একদিন তিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে সংসারের জন্য তিনি নিজেই বোঝা হয়ে পড়েন। উপায় না পেয়ে ধার-দেনা করে চিকিৎসা নিয়ে কর্মক্ষম হয়ে পড়েন তিনি। এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে প্রতিবন্ধী মেয়েকে নিয়ে নামের ভিক্ষাবৃত্তিতে। একটি হুইল চেয়ার এক জায়গা থেকে নিলেও এখন সেটি অচল। তাই তার এই মূহূর্তের চাওয়া হচ্ছে শুধুমাত্র একটি হুইল চেয়ার। যাতে করে তিনি মানুষের দ্বারে দ্বারে ভিক্ষা চাইতে পারেন।
অসহায় ওই পরিবারটিকে সাহায্যের জন্য নগদ(পারসোনাল) ০১৯৭৬-৪৮৪৯৬৮ অথবা ০১৮৩৭-১৮৩৫৯৬ নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে।