ঢাকায় সিপিবি’র
সমাবেশে বক্তারা

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবি’র নেতৃবৃন্দ বলেছেন, সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ, আবার বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির দাম বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে সফল ব্যবসায়ী, মধ্যস্বত্বভোগী আর মজুতদারদের স্বার্থ রক্ষায়। নেতৃবৃন্দ সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি প্রবর্তনসহ নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার, নির্বাচনকে টাকা, পেশীশক্তি, প্রশাসনিক কারসাজি মুক্ত করা এবং নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এলাকায় এলাকায় প্রতিরোধ কমিটি গড়ে তুলে ভাত ও ভোটের অধিকার রক্ষা করতে হবে।
দাম কমাও, জান বাঁচাও, ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে দেশব্যাপী ঘোষিত দাবি পক্ষের শেষ দিনে গতকাল শুক্রবার বিকেলে ঢাকার পুরানা পল্টন মোড়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সিপিবি সভাপতি কমরেড মোহাম্মদ শাহ আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সিপিবি’র সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, সহকারী সাধারণ সম্পাদক কমরেড মিহির ঘোষ, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাজেদুল হক রুবেল, হাফিজুল ইসলাম, জলি তালুকদার, আবিদ হোসেন ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন-মানের উন্নয়ন ও শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তির জন্য চলমান দু:শাসন হঠাতে হবে, ব্যবস্থা বদল করতে হবে। বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তিই পারবে এই ব্যবস্থা বদল করতে।
নেতৃবৃন্দ শাসকশ্রেণির রাজনৈতিক দলগুলোর গালভরা বুলির ফাঁদে পা না দিয়ে নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক দলের শক্তি সমাবেশ বাড়ানো এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষকে নিজ নিজ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
নেতৃবৃন্দ বলেন, মুক্ত বাজারের নামে বাজারে যেযন চলছে লুটপাট, আবার বড়লোকের স্বার্থ রক্ষা করা রাজনীতিতেও চলছে বাজারি রাজনীতি। এখানে কেনা বেচা হয়। জনগণের স্বার্থের কথা বলে নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় নানা তকমা হাজির করা হয়। এর বিপরীতে নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির ধারাও আছে। দেশের মানুষকে এই নীতিনিষ্ঠ রাজনৈতিক ধারায় সমবেত হতে হবে। তাহলেই মুক্তি মিলবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ভোটাধিকার নেই। ভয়ের পরিবেশ চলছে। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। কম খেয়ে বেঁচে আছে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থা রেখে উন্নয়ন আর গণতন্ত্রের বুলি হাস্যকর। এর অবসান ঘটাতে সাহস করে মাঠে নামতে হবে। চলমান দুঃশাসন হটিয়ে ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অগ্রসর করতে হবে।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।