ভারতীয় হাই কমিশনারের বিআইএফপিসিএল পরিদর্শন

ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেছেন, বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানী বন্ধু প্রতীম দুই দেশের বন্ধুত্বের অন্যতম নিদর্শন বলে মনে করে ভারত। এটিকে কমার্শিয়াল প্রকল্প হিসেবে নয়, বন্ধুত্বের প্রকল্প হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই প্রকল্পটিকে অগ্রাধিকার দিয়ে দ্রুততার সাথে কাজ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলে কঠোর পরিশ্রম করছে। বাংলাদেশ সরকারও এটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। রোববার রামপাল পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শন শেষে ভারতীয় হাই কমিশনার একথা বলেন।
বিক্রম দুরাইন বলেন, মুজিববর্ষে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের কাজ সম্পন্ন হবে এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরে এটি বিদ্যুৎ উৎপাদনে যাবে বলে আমরা আশা করছি। আধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এই প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ সর্বোচ্চ বিবেচনায় রয়েছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে রামপাল পাওয়ার প্লান্টের পক্ষ থেকে বহুমুখি উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
ভারতীয় হাই কমিশনার আরো বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের বিরূপ প্রভাব কাটিয়ে ঘুরে দাড়াতে হবে। এ লক্ষ্যে দুই দেশই এক সাথে কাজ করছে। দুই দেশের মানুষের সুবিধার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ভারতের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভিসাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্র সহজীকরণ করা হচ্ছে।

রামপাল পাওয়ার প্লান্ট পরিদর্শনকালে ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সাথে এ সময়ে ভেলের চেয়ারম্যান এবং ম্যানেজিং ডাইরেক্টর নলীন সিংহাল, খুলনাস্থ সহাকারী ভারতীয় হাই কমিশনার রাজেশ কুমার রাইনা, বিদ্যুত বিভাগের যুগ্ম সচিব এটিএম মোস্তফা কামাল, বিআইএফপিসিলর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিয়ার অনিমেষ জইন, বগেরহাট জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশিদ, পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, ভারতীয় হাই কমিশনের পদস্থ কর্মকর্তা, বিআইএফপিসিএল এর কর্মকর্তা এবং ভেলের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিতি ছিলেন।
এদিকে সকালে হেলিকপ্টার যোগে সকাল সোয়া ৯টায় ভারতীয় হাই কমিশনার রামপাল পাওয়ার প্লান্টে পৌছান। এরপর তিনি গোটা প্রকল্প এলাকা পদির্শনকালে কাজের অগ্রতি সম্পর্কে খোজ নেন। পরে তিনি প্রকল্প চত্বরে একটি বকুল গাছের চারা রোপন করেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় তিনি ঢাকা উদ্দেশ্যে রওনা দেন।