কামরুল আলম ঃ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে তাঁর নির্দেশিত পুলিশ বাহিনী গড়ার লক্ষ্যে “চাকরি নয় সেবা” এই শিরোনামকে সামনে রেখে দেশ সেবায় অগ্রগামী তরুণদের সংগ্রহ ও সুযোগ দান এবং বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের উপযোগী করে পুলিশকে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০২১ সালে টিআরসি পদে নিয়োগ পরীক্ষা পদ্ধতির আধুনিকায়ন করা হয়।
২০২১ সালে খুলনা জেলার বিভিন্ন কোটায় মোট ১৯২০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫০ জন, ২০২২ সালের ১ম ধাপে ২২২৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ৬২ জন এবং ২০২২ সালের ২য় ধাপে ৩০৮০ জন প্রার্থীর মধ্যে ৮৭ জন প্রার্থীকে টিআরসি পদে যোগ্য বিবেচনায় নিয়োগ প্রদান করা হয়। দৌড়, ড্রাগিং রোপিং, হাই জাম্প, লং জাম্প ইত্যাদিসহ মাঠের কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে লিখিত ও ভাইবা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর প্রার্থীদেরকে যোগ্য হিসেবে নিয়োগের জন্য বিবেচনা করা হয়।
টিআরসি পদে নিয়োগকৃতদের পারিবারিক পরিচিতি পর্যালোচনা দেখা যায় প্রার্থীদের অধিকাংশই কৃষক, দিনমজুর, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ভ্যান চালক, সাইকেল ম্যাকানিক এবং হরিজন সম্প্রদায়ের লোকসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র পরিবারের। কোন প্রকার তদবীর, ঘুষ দুর্নীতি স্বজনপ্রীতি ছাড়াই শুধুমাত্র মেধা যোগ্যতার ভিত্তিতে ১২০ টাকায় পুলিশের চাকুরি পাওয়ায় প্রার্থীরা তাদের অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। নিজ যোগ্যতায় চাকুরি পাওয়ায় প্রার্থী ও সাধারণ মানুষ খুলনা জেলা পুলিশের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশসহ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছেন।
পরিবর্তিত নিয়মে টিআরসি পদে নিয়োগের জন্য মোট ৭টি ধাপ অনুসরণ করে খুলনা জেলার কোটা অনুযায়ী সেরাদের মধ্য হতে সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে এবং অত্যন্ত স্বচ্ছ পদ্ধতিতে সকল চাপ, তদবির আর প্রতারক চক্রের বলয় ছিন্ন করে দুর্নীতি মুক্ত ও নিরপেক্ষ নিয়োগের জন্য জেলা পুলিশ তৎপর থাকে। খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বিপিএম আগে থেকেই এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত ছিলেন। তিনি তার দক্ষ টিমের সাহায্যে আগে থেকেই এ বিষয়ে খুলনা জেলার অধিবাসীদের সতর্ক এবং উদ্বুদ্ধ করেন। পুলিশ সুপার খুলনা তার বিচক্ষণতা ও ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্বের গুণে কাক্সিক্ষত স্বচ্ছ নিয়েগে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন।