ভারী বর্ষণে বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, ব্যাহত হয়েছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম

বাগেরহাটে দিনভর ভারী বৃষ্টিপাতে বাগেরহাট সদর, মোরেলগঞ্জ, মোংলা, শরণখোলাসহ জেলার ৯টি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। টানা বৃষ্টিতে কাজ করতে না পেরে বিপাকে পরেছেন রিক্সাচালক, দিনমজুরসহ খেটেখাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর ফলে বাগেরহাট পৌরসভার রাহাতের মোড়, সাধনার মোড়, নাগেরবাজার, পোস্ট অফিসের মোড়, শালতলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতে জেলার ফকিরহাট উপজেলার সিংগাতী ও সৈয়দ মহল্লা’র পৃথক দুটি স্থানে বিদ্যুৎ লাইনের উপর গাছ পড়ে তার ছিড়ে পড়ায় ৫টি গ্রামে ৬ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকলে কৃষিখাতে ক্ষতির আশংকা করছে জেলা কৃষি বিভাগ। এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় কারণে ফিশিং ট্রলারগুলো সুন্দরবনসহ উপকূলের মৎস্য বন্দর নিরাপদ আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। ভারী বর্ষণে ব্যাহত হচ্ছে মোংলা বন্দরের কার্যক্রম। এছাড়া মোংলা বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
মোংলা বন্দরের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মাকরুজ্জামান জানান, সকাল থেকে থেমে থেমে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে মোংলা বন্দরে অবস্থানরত দুটি চাল বোঝাই এমভি হোয়াং-৯ ও এমভি এমভি ট্রাংক-৮ এবং দুটি সার বোঝাই এমভি টিবিএস প্রিন্সেস ও এমভি ডিপ বøু জাহাজ থেকে সার খালাস ব্যাহত হচ্ছে। তবে বন্দরে অবস্থানরত অন্য ৭টি জাহাজে কয়লা, ক্লিংকার ও মেশিনারি পণ্যের খালাস কাজ পুরোদমে চলেছে। বাগেরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মোতাহার হোসেন জানান, বাগেরহাট জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৫১৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এমন ভারী বর্ষণ অভ্যাহত থাকলে জেলার সবজি ক্ষেতগুলোতে ক্ষতির আশংকা রয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন আর রশিদ জানান, উত্তর বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট বজ্রমেঘ ও সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর তারতম্যের আধিক্যের কারণে বাগেরহাট জেলা জুড়ে ভারী বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। যে কারনে মোংলা সমুদ্র বন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।