বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষার সংগ্রামে আগামী জাতীয় নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে উঠবে। এ নির্বাচনে দেশপ্রেমিক ইসলামি শক্তিকে বিজয়ী করতে হবে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ আর বিদেশি প্রভুর ইচ্ছায় চলবে না; দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে জনগণ নিজেই।”
শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে খুলনা মহানগর জামায়াত আয়োজিত শিক্ষা শিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নগরীর সোনাডাঙ্গাস্থ আল-ফারুক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন থানা পর্যায়ের মজলিসে শূরা সদস্য, কর্মপরিষদ ও টিম সদস্যরা।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “ইসলামী দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হয়েছে—আগামী নির্বাচনে একটি ইসলামি ভোটবাক্স থাকবে।” তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে বিজয় এসেছে, তা হারাতে চাই না। তাই ঐক্যবদ্ধ না হলে সে বিজয় হারিয়ে যাবে।”
জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, “মাঠের রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ থাকবেই। জামায়াত কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দেওয়ার স্বপ্ন দেখে না। মক্কায় যোগ্য লোক ছিল, কিন্তু জনমত না থাকায় বিজয় আসেনি। তাই জনমত গঠনই হচ্ছে মূল কাজ।”
তিনি নেতাকর্মীদের দাওয়াতী কাজ ও গণসংযোগ বৃদ্ধির পাশাপাশি ধর্মীয় ও শ্রমজীবী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান। “আন্দোলন কেবল বই পড়ে হয় না, নেতৃত্ব তৈরি করতে হলে মাঠে থাকতে হয়,”—উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ইসলামী বিপ্লবের জন্য আদর্শবান নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ও টিম সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম।
আব্দুল খালেক বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিটি ইঞ্চি জমিন ইসলামী আন্দোলনের দুর্গ। এই দুর্গ রক্ষা করা প্রতিটি দায়িত্বশীলের দায়িত্ব।” তিনি বলেন, “আমরা আমাদের ঘাম ও ত্যাগ দিয়ে একদিন এই ভূখণ্ডে কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসন প্রতিষ্ঠা করবো, ইনশাআল্লাহ।”
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, “ইসলামি সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য জামায়াত দায়িত্বশীলদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে হবে।” তিনি সকলকে আহ্বান জানান, “নিজ নিজ অবস্থান থেকে ইসলামি আদর্শের দাওয়াত ছড়িয়ে দিতে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মহানগর নায়েবে আমীর অধ্যাপক নজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, থানা আমীর ও কর্মপরিষদের বিভিন্ন সদস্য।
