ভারতের আমরি হাসপাতালের সভায় বক্তারা
স্টাফ রিপোর্টার ঃ ভারতে সুচিকিৎসার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান আমরি হাসপাতাল আয়োজিত স্বাস্থ্য বিষয়ক সভায় বক্তারা বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে বাংলাদেশ ও ভারতে হার্টের রোগ বেড়েছে। আগে যেখানে সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ বছর বয়সী মানুষের হার্টের রোগ দেখা দিত এখন সেখানে ৩০ থেকে ৪০ বছর বয়সী মানুষও হার্টে আক্রান্ত হচ্ছে। করোনাকালীন মানুষের চলাফেরায় পরিবর্তন, শারীরিক পরিশ্রম কমে যাওয়া এবং খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণেই এমনটি হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। এ অবস্থায় লক্ষণ দেখামাত্রই দ্রুত ডাক্তারের শরণাপন্ন অথবা হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর খুলনা ক্লাবে অনুষ্ঠিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক পরামর্শ সভায় ভারতীয় আমরি হাসপাতালের চিকিৎসকরা এমনটি জানিয়েছেন।
সভায় জানানো হয়, হার্টের পাশাপাশি পিত্তথলীতে পাথর হলেও এর আধুনিক চিকিৎসা হচ্ছে। আগে যেখানে পিত্তথলীতে পাথর হলে শতকরা ৫ভাগ মানুষকে বাঁচানো সম্ভব হতো না, এখন সেখানে আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে অধিকাংশকেই সুস্থ্য করে গড়ে তোলা সম্ভব হচ্ছে।
সভায় প্যানেল চিকিৎসক হিসেবে আলোচনা করেন, ভারতের আমরি হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা: তুহিন শুভ্র মন্ডল, ইন্টারন্যাশনাল কার্ডিলজিষ্ট ডা: সুপ্রতিপ কুন্ডু, চীফ মার্কেটিং অফিসার প্রকাশ নার এবং ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটিং বিভাগের প্রধান পত্রানু রায় গুপ্ত। এসময় আমরি হাসপাতালের ভারত-বাংলাদেশ অংশের সমন্বয়কারী নির্ঝর ঘোষ এবং বাংলাদেশের সমন্বয়কারী সৈয়দ মাসুম জাফর উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসক ডা: সাবরিনা রহমান ¯িœগ্ধা।
সভায় হার্ট ও পিত্তথলীতে পাথর সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ সম্পর্কে অংশগ্রহণকারীদের পক্ষ থেকে প্রশ্নত্তরপর্বে কথা বলেন, ফারহানা ইয়াসমিন, অনামিকা রায়সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিবৃন্দ।
সভায় আরও জানানো হয়, ভারতের নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান আমরি হাসপাতালের পক্ষ থেকে খুলনা মহানগরীর শিববাড়ি মোড়ে শাখা স্থাপন করা হয়েছে। যে শাখার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতায়াতকারী রোগীদের সকল প্রকার সহযোগিতা দেয়া হবে। এ সেবার মাধ্যমে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে দীর্ঘদিনের যে সুসম্পর্ক রয়েছে সেটি আরও দৃঢ় হবে বলেও বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে এটি আমরি হাসপাতালের জন্য কোন মার্কেটিং নয়, বরং এদেশের রোগীরা যাতে ভারতে গিয়ে দালালদের খপ্পরে পড়ে প্রতারিত না হয় সেটি নিশ্চিত করা এবং নির্ভরযোগ্য স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ধারণা দেয়াই এ সভার লক্ষ্য বলে উল্লেখ করা হয়।