খুলনা বিভাগের
করোনা পরিস্থিতি
স্টাফ রিপোর্টার ঃ মৃত্যু কমলেও খুলনা বিভাগে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বেড়েছে। বিগত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে করোনায় ২৬ জনের মৃত্যু আর এক হাজার ৩৭৩ জনের শনাক্ত হয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তরের দৈনন্দিন হিসাবে দেখা যায় বিগত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ সাতজন করে মৃত্যু হয় খুলনা ও কুষ্টিয়ায়। বাকিদের মধ্যে যশোর ও মেহেরপুরে তিনজন করে, মাগুরা ও ঝিনাইদহে দু’জন করে এবং বাগেরহাট ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মারা যান।
করোনা সংক্রমণের রু থেকে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয় ৯৫ হাজার ১৮৫ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দু’হাজার ৪৫৪ জন আর সুস্থ হয়েছেন ৭১ হাজার ৪৯৪ জন।
গতকাল সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেলায় করোনা শনাক্ত হয় ১৬৯ জনের। এ জেলায় এ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪ হাজার ১৩৪ জনের। মারা গেছেন ৬৩৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ১৬১ জন।
বাগেরহাটে নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭০ জনের। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ১৪১ জনের। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১২৭ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪২৫ জন।
সাতক্ষীরায় নতুন করে ৭২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৭৬ জনের এবং মারা গেছেন ৮৫ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪ হাজার ৫১৯ জন।
যশোরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ১৫৫ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৮ হাজার ৯৮১ জন। মোট মারা গেছেন ৩৫৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৫৩ জন।
নড়াইলে নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৭ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৮৯ জনের। মোট মারা গেছেন ৯৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩২১ জন।
মাগুরায় নতুন করে ৫৯ জনের শনাক্ত হয়েছে। এ জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ১৮৪ জনের। মোট মারা গেছেন ৬৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৪৩ জন।
ঝিনাইদহে নতুন করে ১৯৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৮৪৮ জনের। মোট মারা গেছেন ২০৯ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৭৫৭ জন।
কুষ্টিয়ায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৪৮০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৮৯৫ জনের। মোট মারা গেছেন ৫৭৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ৩০৬ জন।
চুয়াডাঙ্গায় নতুন করে ৫৭ জনের শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ হাজার ১০৩ জন। মোট মারা গেছেন ১৬৪ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ১০৬ জন।
মেহেরপুরে নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৭০ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছে ৩ হাজার ৯৩৪ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ২০৩ জন।
চার হাসপাতালে ৬ জনের মৃত্যু ঃ খুলনার চার হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টার হিসাব এটি। এর মধ্যে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আওতাধীন ২০০ শয্যার করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে একজন, খুলনা জেনারেল হাসপাতালে একজন, শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে দু’জন এবং গাজী মেডিকেল হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালগুলো থেকে জানানো হয়।
খুমেক করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় সদর থানা এলাকার জোবেদা (৭৭) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে রূপসার হাওয়া বেগম (৬৫) নামে একজনের মৃত্যু হয়।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দু’জনের মত্যু হয়। তারা হলেন, নগরীর পূর্ব বানিয়াখামার এলাকার তাহেরা বেগম (৬২) ও মোল্লাহাটের চরকুলিয়ার সালমা আক্তার (৬০)।
গাজী মেডিকেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, নগরীর করিমনগরের নজরুল ইসলাম (৫৮) ও নড়াইল লোহাগড়ার মো: মশিউল আজম (৭১)।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ম্যানেজার এডমিন ও এইচআর মো: হামিদুল ইসলাম জানান, সেখানে গতকাল সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘন্টায় কারো মৃত্যু হয়নি। তবে গতকাল সকাল পর্যন্ত করোনা ইউনিটে ৬৩ জন ভর্তি ছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১০ জন আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৪ জন। আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন ১০ জন এবং এইচডিইউতে ছিলেন তিনজন।
খুমেক ল্যাবে শনাক্ত ১০৯জন ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল সোমবার ৩৭৬টি নমুনা পরীক্ষার পর ১০৯ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় বলে কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ জানিয়েছেন। শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে খুলনার ৯২জন, বাগেরহাটের ১১জন, নড়াইলের তিনজন এবং সাতক্ষীরা, যশোর ও গোপালগঞ্জের একজন করে রয়েছেন।