যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শেখ আমির হোসেন (৫৫)। বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের মৃত শেখ মকছেদ আলীর ছেলে।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গত ৬ জুন শেখ আমির হোসেন কিডনিজনিত সমস্যা নিয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি হয়ে ছিলেন। মঙ্গলবার দুপুরে রেপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় তার করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বুধবার (১৮ জুন) ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ জুন আমির হোসেন পেটে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালের মডেল ওয়ার্র্ডে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার তার নতুন করে জ্বরসহ করোনার বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়, অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আইসিইউতে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। তবে আইসিইউতে শয্যা ফাঁকা না থাকায় তিনি মডেল ওয়ার্র্ডেই চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে আইসিইউতে শয্যা ফাঁকা হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে সেখানে নিয়ে যান। সেখানেই চিকিৎসকের পরামর্শে তার করোনা পরীক্ষা করানো হয় এবং ফলাফল পজিটিভ আসে। বুধবার ভোরে তিনি মারা যান। এর আগে একজন নারী করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
যশোরের কেশবপুরে যুবদল নেতা খুন পি-১
যশোর ব্যুরো ঃযশোরের কেশবপুর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে মনিরুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবদল কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত মনিুরুল ইসলাম বরণডালি গ্রামের আলী বক্সের ছেলে এবং স্থানীয় যুবদলের একজন নেতা।
এ ঘটনায় কেশবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বরণডালি গ্রামের রেজা হাসান সবুজ, লিটন হোসেন ও মশিয়ার রহমানকে গ্রেফতার করে।
চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই শামীম হোসেন জানান, নিহত মনিরুল ইসলামের ভাই মিজানুর রহমান বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ বিষয়ে কেশবপুর থানার পরিদর্শক খান শরীফুল ইসলাম বলেন, মামলা অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।