তেরখাদা-খুলনা সড়কে বেপরোয়াভাবে যানবাহন, ঘটছে অহরহ দুর্ঘটনা

মফিজুল ইসলাম জুম্মান,তেরখাদা(খুলনা): তেরখাদা-খুলনা সড়কে বেপরোয়াভাবে বিভিন্ন শ্রেণির যানবাহন, পরিবহন ও মালগাড়ী চলায় অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। সকল পরিবহনের চালক নিয়মনীতি উপেক্ষা করে নির্বিঘেœ চলাচল করেছেই। বেশীর ভাগ যানবাহন লাইসেন্স বিহীন অদক্ষ চালক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সে কারণেই দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে শিশুরাসহ কেড়ে নিচ্ছে বিভিন্ন বয়সের লোকদের তাজা প্রাণ। কোনো প্রকার বাধা ছাড়াই তেরখাদা উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তেরখাদা-খুলনা সড়কে প্রতিনিয়ত চলছে বাস ট্রাক টেম্পো,নসিমন, মাইক্রো, প্রাইভেট করা, ইজিবাইক, সিএনজি, ভ্যান, রিক্সা, মটর সাইকেলসহ বিভিন্ন শ্রেণির যানবাহন,পরিবহন ও মালগাড়ী। এসব পরিবহনের মধ্যে আছে ট্রলি ও নসিমন যার বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। স্যালো মেশিন দিয়ে এসব ট্রলি নসিমন চালানো হয়। ট্রলি ও নসিমন নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত ব্রেকও নেই। অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় টলি নসিমন ইজিবাইক। এরা তেরখাদা-খুলনা সড়ক ছাড়াও ছোট বড় সকল সড়কে ইট,বালি,সিমেন্ট,কাঁচা কাঠ, ধান চালসহ বিভিন্ন পণ্য অপরিমান বোঝাই করে দ্রæত গতিতে চালায়। বেপরোয়া চলাচল করার কারণে প্রতিদিন কিছু না কিছু দুঘর্টনা ঘটেই চলেছে। এতে পঙ্গত্ব বরণ করছে অনেকেই।

জানা যায়, তেরখাদা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন দৈনন্দিন কাজে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার অগণিত মানুষ তেরখাদা-খুলনা সড়ক দিয়ে বিভাগীয় শহর খুলনা এবং উত্তরাঞ্চলের জেলা উপজেলায় গমনাগমন করে। এলাকার সচেতন মহল বলেন, কখনও অদক্ষ চালকের ত্রæটি, কখনও পরিবহনের ত্রæটি, কখনও দ্রæত চালনার ত্রæটি, কখনও ব্রেক ত্রæটির কারণে প্রায়শ: দুর্ঘটনা ঘটে। সকাল বিকেল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পায়ে হেটে এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। চালকদের বেপরোয়াভাবে গাড়ী চালানোর কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে আতংকের সৃষ্টি হয়। সড়কের পাশ দিয়ে পায়ে হেটে চলার সময় পথচারীদের পড়তে হয় চরম ঝুঁকিতে। অনেক সময় পথচারীরা নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে চলাচল করলেও অদক্ষ চালকরা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে চাপা দেয়। উপজেলা প্রশাসনের চোখের সামনে এমন দুর্ঘটনা প্রায়শঃ ঘটলেও প্রতিকার নেই। অভিযোগ আছে কোনো কোনো পরিবহন ও মালগাড়ীর চালকরা ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুন, তিনগুন যাত্রী এবং পন্য/মালামাল লোড করে আনা নেয়া করে। এটিও দুর্ঘটনার আরেকটি বড় কারণ।