নিজস্ব সংবাদদাতা, নেহালপুর (যশোর: যশোরের মনিরামপুরের রোহিতায় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের পুকুর থেকে মাহমুদা সিদ্দিকা (১৩) নামে এক কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধারের মূল রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। কিশোরীর বাবা মাওলানা আইনুল হক নিজেই মেয়েকে দোকান থেকে রুটি চুরি করে খাওয়ার অপরাধে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার আদালতে মেয়েকে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন আয়নুল হক। মনিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাবলুর রহমান খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, হত্যার স্বীকার কিশোরী মাহমুদার বাবা আয়নুল হককে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করা হয়েছে। তিনি আদালতকে জানিয়েছেন গত ৮ সেপ্টেম্বর দুপুরে বাড়ির পাশের দোকান থেকে রুটি চুরি করার অভিযোগ পেয়ে আয়নুল হক ওইদিন বিকেলে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে মারপিট করার এক পর্যায় সে মেয়েকে শ্বাসরোধে হত্যা করে লাশ স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের পুকুর পাড়ে ঝোপঝাড়ের মধ্যে রেখে দেয়। পরে এশার নামাজের পর নিজে পুকুরে লাশ ফেলে দেয়।
ওসি বলেন, আয়নুল হক স্বীকার করেছে সে লাশের পা ধরে পুকুরের পানিতে নিক্ষেপ করার সময় মেয়ের পরনের পায়জামা খুলে তার হাতে থেকে যায়। পরে সেই পায়জামা ও মেয়ের ওড়না পুকুরে ফেলে দেয় আয়নুল হক। এদিকে মাদরাসা ছাত্রী মাহমুদার লাশের ময়নাতদন্ত রিপোর্টে তাকে ধর্ষণ ও শ্বাসরোধে হত্যার কথা উল্লেখ থাকায় গত ১২ সেপ্টেম্বর কিশোরীর মা শাহিনুর আক্তার বাদী হয়ে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার ঘটনায় মনিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছিলেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি বাবলুর রহমান খান বলেন, মাহমুদাকে ধর্ষণ করা হয়নি। মামলা থেকে ধর্ষণের ধারা বাদ যাবে।
উল্লেখ্য: গত ৯ সেপ্টেম্বর বেলা ১০টার দিকে স্থানীয়রা পুকুর থেকে কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।