করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার ঃ খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে শনাক্ত হয়েছে ৯১১ জনের। এ নিয়ে খুলনা বিভাগে করোনায় এ পর্যন্ত দু’হাজার ৬৮১জনের মৃত্যু ও এক লাখ ৪০৫জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: জসিম উদ্দিন বলেন, গতকাল সকাল পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয় কুষ্টিয়ায়। বাকিদের মধ্যে যশোরে ৫ জন, খুলনায় ৩ জন, বাগেরহাট ও ঝিনাইদহে ২ জন করে এবং সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে মারা গেছেন।
দু’হাসপাতালে ৩ জনের মৃত্যু ঃ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল সকাল পর্যন্ত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন এবং শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে দু’জনের অর্থাৎ বিগত ২৪ ঘন্টায় খুলনার এ দু’টি হাসপাতালে তিনজনের মৃত্যু হয়।
খুমেক করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের মুখপাত্র ডা: সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, হাসপাতালে গত ২৪ ঘণ্টায় রূপসার নাছিমা (৩৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া গতকাল সকাল পর্যন্ত করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছিলেন, ১৩১ জন। যার মধ্যে রেড জোনে ৫৯ জন, ইয়ালো জোনে ৩৯ জন, আইসিইউতে ২০ জন এবং এইচডিইউতে ১৩ জন ভর্তি ছিলেন।
খুলনার শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে দু’জনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন, মোংলার দিগরাজ এলাকার বিশ্বাস আতাউর রহমান (৭৫) ও ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুর ফজলুর রহমান (৬৫)। গতকাল সকাল পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি ছিলেন ৩২ জন। এর মধ্যে আইসিইউর ১০টি বেডে ১০ জনই ভর্তি ছিলেন।
খুলনা জেনারেল হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। সকাল পর্যন্ত সেখানের ৮০টি বেডের মধ্যে চিকিৎসাধীন চিলেন ২৮ জন। তার মধ্যে ১০ জন পুরুষ আর ১৮ জন নারী।
খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গতকাল সকাল পর্যন্ত ৬৩ জন ভর্তি ছিলেন বলে হাসপাতালের ম্যানেজার এডমিন ও এইচআর মো: হামিদুল ইসলাম জানিয়েছেন। করোনা ইউনিটের ১০টি আইসিইউ বেডে চিকিৎসাধীন ছিলেন ১০ জন এবং এইচডিইউর তিনটি বেডে ছিলেন তিনজন।
গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কোনো রোগীর মৃত্যু হয়নি। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪১ জন। আইসিইউর ১০টি বেডের মধ্যে ছিলেন চারজন এবং এইচডিইউতে ছিলেন তিনজন।