আবারও খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড, যাচ্ছে না তাপদাহ
স্টাফ রিপোর্টার: চলমান তাপদাহ আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে গতকাল আবারও খুলনায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। টানা তাপদাহে জীবন অতিষ্ঠ। বৈদ্যুতিক পাখা কাজে আসছে না। শীতাতপ কক্ষেও অবস্থান করে স্বস্তি মিলছে না। বরং হাপিয়ে উঠছে যাদের বাসায় এসি আছে। কোনোভাবেই্ প্রশান্তি মিলছে না। দিনে তো প্রচন্ড গরম আছেই, রাতেও ঘুমানো যাচ্ছে না। এদিকে টানা তাপদাহে মানুষ হাফিয়ে উঠছে। জীবন যেনো ওষ্ঠাগত। আবহাওয়া বিভাগ সহসা এ পরিস্থিতির অবসানের কোনো আভাস দিতে পারেনি। ফলে আগামী ৩-৫দিন পর্যন্ত তাপদাহ অব্যাহত থাকতে পারে। যতোক্ষণ বঙ্গোপসাগরের আকাশেরএমঢ়ের অস্থিতিশীলতা লঘুচাপ বা নিম্নচাপ সৃষ্টি না হচ্ছে এবং তা ঘূণিঝড় বা স্থল নিম্নচাপে পরিণত না হচ্ছে ততোক্ষণ বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা ক্ষীণ। আজকালের মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আশংকার জায়গা হলো এখানে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে একেবারে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগরে একেবারে আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের কাছে। ফলে এসব স্থানে ঘূণিঝড় সৃষ্টি হলে তা সাধারণত দুর্বল হওয়ার আগেই উপক’লে বেশ গতি নিয়েই আঘাত হানে। কিন্তু দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তা দেড় হাজারের বেশি কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে তারপর বাংলাদেশ উপক’লে আঘাত হানে। তার আগেই বেশিরভাগ ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে যায়। মধ্যবঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে বিপদের সম্ভানবনা বেশি থাকে। তবে বঙ্গোপসাগরে চলতি সপ্তাহের শেষে সারাদেশে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এ দিকে আজ সন্ধ্যা ৬ টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে,সীতাকুন্ড.চাঁদপুর,নোয়াখালী ও ফেনী জেলাসহ ঢাকা,রাজশাহী,খুলনা ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারী ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এই সময়ে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনায় ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পূর্বাভাসে আরো বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গায় এবং কুমিল্লা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যস্থানে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
অন্যদিকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। াবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে,পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান করছে,যার বাড়তি অংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।