জানাজার পূর্ব সমাবেশে নজরুল ইসলাম মঞ্জু
আব্দুল কাদের শিকদার ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা। মানুষের সুখে-দুঃখে, বিপদে-আপদে, সংশয়-সঙ্কটে তিনি ছুটে যেতেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণি পেশার মানুষের কাছে ছিলেন সবচে’ জনপ্রিয়। শুক্রবার (২১ মে) বিকেল ৩টায় জানাজার পুর্বে নড়াইল জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক এমপি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের শিকদারের মরদেহে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদানকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু এসব কথা বলেন।
সাবেক সংসদ সদস্য মি. মঞ্জু আরো বলেন, কাদের শিকদার অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন সাধারন মানুষের কল্যাণের প্রতি। দক্ষিণাঞ্চলের জনগণ কখনো তার প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস হারায়নি। রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখে গেছেনÑ একথা তার কট্টর সমালোচকরাও স্বীকার করেন। মরহুম কাদের শিকদার কথা ও কাজের অপূর্ব এক সমন্বয় ঘটিয়েছিলেন, যা যেকোনো জননেতার জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। তাঁর শূন্যতা কখনই পুরণ হবার নয়। এ নেতার মৃত্যুতে দল একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারিয়েছে। নড়াইলের এবিএম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে শ্রদ্ধার্ঘ্য প্রদানকলে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রিয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ ইসলাম অমিত, নড়াইল জেলা বিএনপির সভাপতি বিশ্বাস জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিরুজ্জামান মনি, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জুলফিকার আলী মন্ডল, আলী হাসান, শাহারিয়ার রিজভী জর্জ, মাহবুব মোর্শেদ, মুস্তাফিজুর রহমান আলেক, আজিজুর রহমানসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। জানাজা শেষে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
উল্লেখ্য, অনেক দিন ধরে আব্দুল কাদের শিকদার চোখের সমস্যা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ নানা রোগে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার অসুস্থ বোধ করলে তাকে প্রথমে নড়াইল সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়ার পথে রাত ১২ টায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।-খবরঃ বিজ্ঞপ্তির।