করোনা পরিস্থিতি

স্টাফ রিপোর্টার ঃ এক সপ্তাহের মাথায় আবারো খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় করোনায় মৃত্যুমুক্ত একদিন অতিবাহিত হয়েছে। বুধবার সকাল আটটা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে শনাক্ত হয়েছে ৪৪ জনের। এ নিয়ে এ পর্যন্ত বিভাগে করোনা শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ১৫৩জনের। আর মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ১৩৪জনের।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা: জসিম উদ্দিন হাওলাদার বলেন, গত ২৪ ঘন্টায় বিভাগে করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি। তবে আট জেলায় শনাক্ত হয়েছে ৪৪ জনের। শুধুমাত্র বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় কারও শনাক্ত হয়নি। ৪৪ জনের মধ্যে খুলনার নয়জন, যশোরের ১১জন, নড়াইলের দু’জন, মাগুরার একজন, ঝিনাইদহের ছয়জন, কুষ্টিয়ার সাতজন, চুয়াডাঙ্গার চারজন এবং মেহেরপুরের চারজন রয়েছেন।
খুমেক ল্যাবে শনাক্ত ৪ ঃ খুলনা মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে গতকাল বৃহস্পতিবার ৩৭৪টি নমুনা পরীক্ষার পর চারজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে খুলনার তিনজন ও বাগেরহাটের একজন রয়েছেন। খুমেক উপাধ্যক্ষ ডা: মো: মেহেদী নেওয়াজ এ তথ্য জানিয়েছেন। অর্থাৎ গতকাল খুমেক পিসিআর ল্যাবের করোনা শনাক্তের হার এক দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ।
আবু নাসের রোগীশূন্য ৪দিন ঃ বিগত ৪দিন ধরে রোগী নেই আবু নাসের হাসপাতালে। তবুও আইসিইউ’র ১০টি শয্যা উম্মুক্ত করা হচ্ছে না সাধারণ রোগীদের জন্য। এ ব্যাপারে খুলনার সিভিল সার্জন ডা: নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা ও মহানগর করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভা থেকে সেখানকার করোনা ইউনিটের একাংশ বন্ধ করা হয় গত ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে। ওই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল রোগীশূন্য হলে করোনা ইউনিট পুরোপুরি বন্ধ করা হবে। কিন্তু সেটি করোনা প্রতিরোধ কমিটির কাছে জানাতে হবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। তারপরই কমিটি পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।
আবু নাসের হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা: প্রকাশ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, আগামী ১২ অক্টোবর হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মিটিং আছে। ওই মিটিং থেকে সিদ্ধান্ত নিয়েই করোনা কমিটির কাছে জানানো হবে।
এদিকে, সচেতন মহল বলছেন, খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২০টি আইসিইউ ও ২০টি এইচডিইউসহ মোট ২শ’ বেডের করোনা ইউনিট থাকার পরও শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ন্যায় একটি গুরুত্বপূর্ণ হাসপাতাল বিশেষ করে ১০টি আইসিইউ বেড আটকিয়ে রাখার কোন যৌক্তিকতা থাকতে পারে না। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলেও অনেকে মনে করেন। এছাড়া শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের ভিভিআইপি কেবিনটিও সেখানকার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দখল করে রেখেছেন বলেও একটি সূত্র জানায়। যদিও ওই কর্মকর্তার জন্য নির্মিত ছয় কোটি টাকার ভবনটি পড়ে আছে অব্যবহৃত অবস্থায়। এসব বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সজাগ দৃষ্টি দেয়ারও দাবি উঠেছে।