যেখানে অনেকে কেবল বক্তৃতা দেন, সেখানে একজন মানুষ নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজস্ব অর্থে ৫০০ চারা গাছ রোপণ করে একা হাতে যশোর-চুকনগর মহাসড়কের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছেন মনিরামপুরের এক পরিচিত মুখ আসাদুজ্জামান মিন্টু।
যশোর-চুকনগর মহাসড়কটি ২০২১ সালে সম্প্রসারণের সময় দুই পাশে থাকা পুরোনো গাছ কেটে ফেলা হয়। তখন কেউ গাছ হারানোর দুঃখ বুঝলেও, নতুন করে গাছ লাগানোর কথা ভাবেননি। পথচারীরা রোদে পুড়েছেন, রাস্তা হয়েছে রুক্ষ আর ক্লান্তিকর। ঠিক তখনই এগিয়ে এসেছেন মিন্টু—দলীয় পরিচয়ের গণ্ডি পেরিয়ে এক নাগরিক দায়িত্ববোধ থেকে।
মিন্টুর এই উদ্যোগে শুধু মহাসড়ক নয়, লাগোয়া স্কুল-কলেজগুলোর উঠোনেও গাছ রোপণ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে পরিবেশ সচেতনতা বাড়ছে।
এটা প্রথম নয়। করোনাকালে যখন ঘরের দরজা বন্ধ, তখন মিন্টু খুলেছেন নিজের হৃদয়ের দরজা। গভীর রাতে আক্রান্তদের বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন অক্সিজেন সিলিন্ডার। ডাক্তার মোসাব্বিরুল ইসলাম রিফাত বলেন, “ভয়ে যখন কেউ বের হয়নি, তখন মিন্টু ভাই ছিলেন আক্রান্তদের ছায়া।”
মিন্টুর কাজ শুধু বৃক্ষ বা রোগীর সেবাতেই সীমাবদ্ধ নয়। হিন্দু অধ্যুষিত নেবুগাতী ও চান্দাডাঙ্গা মহাশ্মশানে নিজ অর্থে ঘাট নির্মাণ, আবার জামলা-তেঘরি এলাকার নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি—এ সবই তার উদ্যোগে বাস্তবায়িত।
মিন্টুর নিজের ভাষায়, “আমি রাজনীতি করি মানুষের সেবায়। জনপ্রিয় হওয়ার জন্য নয়, বরং আল্লাহর কাছে জবাবদিহির চিন্তা থেকেই এই কাজ করি।”
একজন সাধারণ নেতার অসাধারণ এই কর্মকাণ্ড আজ মনিরামপুরের মানুষদের কাছে এক অন্যরকম আলো হয়ে উঠছে। সবুজে ফিরছে সড়ক, ফিরছে বিশ্বাস—যে এখনো কিছু মানুষ নিঃস্বার্থভাবে সমাজের জন্য কাজ করেন।